পণের বলি নববধূ; মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: নববধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদার চাঁচোল থানার মহানন্দপুর গ্রামে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত নববধূর স্বামী।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত নববধূর নাম পঞ্চমী দেবী, বয়স ১৯ বছর।  বিহার রাজ্যের পুর্নিয়া জেলার বাইসি থানার দারবাই গঞ্জে তাঁর বাড়ি। মালদা জেলা চাঁচোল থানার মহানন্দপুরে মাস তিনেক আগে প্রকাশ ঠাকুরের সঙ্গে বিয়ে হয় পঞ্চমীর। তাঁর মায়ের অভিযোগ, বিয়ের পর পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন পঞ্চমীর ওপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাত। জামাই ও তার পরিবারের কিছু সদস্য তার মেয়ের উপর বকেয়া পনের টাকা বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য চাপ দিচ্ছিল। 

মৃত নববধূর মা অঞ্জলি দেবী আরও জানান, বুধবার সকালে তার মেঝো জামাইয়ের কাছে মৃত্যুর সংবাদটি পৌঁছায়। তখনই চাঁচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল আসেন। এছাড়াও অঞ্জলি দেবীর অভিযোগ, তাঁর মেয়ে আত্মঘাতী হয়নি তাকে খুন করা হয়েছে; বাথরুমে তাকে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত স্বামী প্রকাশ ঠাকুরকে গ্রেফতার করেছে চাঁচোল থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে চাঁচোল থানার পুলিশ।