নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: 'যশ' সাইক্লোন নিয়ে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেই নিয়ে বক্তব্য রাখলেন জেলাশাসক উলগা নাথান। তিনি বলেন, "আমরা আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি, যবে থেকে হাওয়া অফিস আমাদের মেসেজ দিয়েছে একটা নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। প্রথমে একটি চিপ সেক্রেটারি লেভেলের মিটিং হয়েছে, সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত জেলাপরিষদ পঞ্চায়েত সমিতি সবাইকে নিয়ে অনেক বার মিটিং হয়ে গেছে, আরও হবে, যাতে আপৎকালীন অবস্থায় আমরা তৈরি থাকি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে যত দ্বীপ আছে, কোস্টাল এরিয়া আছে সেখানে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং যত ট্রান্সফর্মার রয়েছে, হাইভোল্টেজ লাইন রয়েছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ২৬ তারিখ যদি সাইক্লোন ঢোকে তার জন্য আমরা পুরোপুরি তৈরি রয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, "দক্ষিণ ২৪ পরগনা গ্রাম পঞ্চায়েতের যত কমজোর ব্রিজ রয়েছে সেই ব্রিজ গুলোকে সারাইয়ের কাজ চলছে. ইতিমধ্যে এক কোটির মতো আমরা ওয়াটার পাউচ তৈরি করতে চলেছি। PWD- এর জেসিপি উড কাটার মেশিন সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে। এনডিআরএফ টিম ইতিমধ্যেই পাথরপ্রতিমা, সাগর, বাসন্তী, গোসাবা,ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছে গেছে। কোস্টগার্ড, সিভিল ডিফেন্সকে ধীরে ধীরে সব জায়গায় মুভমেন্ট করানো হচ্ছে। মৎস্যজীবী এবং চাষীদের সঙ্গে আমরা অলরেডি মিটিং করেছি, আরও করবো। কোন মৎস জীবিদের সমুদ্রে নাবতে দেওয়া হবে না। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে এবং ফিশারি ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে সব জায়গায়। প্রত্যেকটা ঝড়-বৃষ্টিতে চাষের জমির খুব ক্ষতি হয় ইতিমধ্যেই চাষীরা তাদের ফসল কাটতে শুরু করেছে। নোনা জল ঢুকলে প্রচুর মাছ মরে যায় তার জন্য আমরা পাম্পের ব্যবস্থা রাখছি, যাতে নোনা জল ঢুকলে সাথে সাথে সেই পাম্পের মাধ্যমে নোনাজল তুলে নেওয়া যায়। সমস্ত কাজই কোভিড প্রটোকল মেনে করা হচ্ছে। সাইক্লোন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স থাকছে, মেডিকেল ক্যাম্প করা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হচ্ছে। সেই সময় যদি কেউ কোভিডে আক্রান্ত হয় তাকে সঙ্গে সঙ্গে কোয়ারেন্টাইন করা হবে। ফুড, ড্রাই ফুড সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।"
তিনি এও জানান, গোসাবায় প্রচুর দ্বীপ আছে যেগুলো যাতায়াতে প্রচুর অসুবিধা ইতিমধ্যে সেখানে সমস্ত অফিসারদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রচুর স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কারণ ঝড়ের সময় ফোনের লাইন ডিস্টার্ব হয়ে যায়। এছাড়াও তিনি বলেন, 'বিডিও অফিস এইচডি অফিসের কন্ট্রোল থাকবে, যেখানে থেকে পুরো কন্ট্রোল করা হবে। এমনকি কোস্টগার্ড ও কন্ট্রোল রুম তৈরি করেছে। সবার ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে যাদের সার্ভিস দরকার। তারা সবাই এভেলেবেল থাকবে। এবছর আমাদের টার্গেট থাকবে যেন কোন মানুষ মারা না যায়। আমরা সিএসসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে যেন কোন মানুষ মারা না যায়। ঝড়ের আগে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।"
No comments:
Post a Comment