প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: '১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও রাজভবনের প্রধান ফটকের সামনে যে খুশি চলে আসছে। পুলিশের ভূমিকা উদ্বেগজনক।' রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়ে আবারও ট্যুইট রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। পাশাপাশি রাজভবনের গেটে বিক্ষোভ নিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে আক্রমণ করেন রাজ্যপাল এবং রিপোর্ট চেয়ে বুধবার বিকেল ৫টায় পুলিশ কমিশনারকে ডেকে পাঠালেন তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজভবনের গেটের সামনে এক পাল ভেড়া নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন এক ব্যক্তি। সেই ভিডিও পোস্ট করেই রাজ্যপাল তোপ দাগেন রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি। ট্যুইটে তিনি লেখেন, কলকাতা পুলিশের ভূমিকা হাস্যকর। এই ব্যক্তি রাজভবনকে পিছনে রেখে ছবি তুলতে এসেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজ্যপাল আরও লিখেছেন, 'রাজভবনের বাইরে এই ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।' প্রসঙ্গত, ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে রাজ্যপালের অফিস ভাঙচুর হবে বলতে শোনা যায়।
প্রসঙ্গত, রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক প্রথম থেকেই আদায়-কাঁচকলায়। সেই শ্ত্রুতা আরও গতি পায় ভোট ও ভোট পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আর সোমবার নারদ কাণ্ডে ৪ হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতার নিয়ে সেই সংঘাত যেন আরও চরমে পৌঁছায়। নিজাম প্যালেসে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি রাজভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। আর এই ঘটনায় বেজায় চটে যান রাজ্যপাল।
এসবের মাঝেই আবার মঙ্গলবার সুমন মিত্র নামে এক ব্যাক্তি, যিনি সিটিজেন্স এগেনস্ট ডার্টি পলিটিক্স অ্যান্ড করাপশন নামে এক সংগঠনের সদস্য, তিনি এক পাল ভেড়া নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে পৌঁছে যান রাজভনের গেটের সামনে। তাঁর দাবী, রাজ্যপালের ভূমিকার প্রতিবাদ জানাতেই এই অভিনব প্রতিবাদ। যদিও, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাজভবনের মেন গেটের সামনে থেকে এই ব্যক্তিকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। তবে এই ভাবে রাজভবনের সামনে ভেড়ার পাল নিয়ে যে কেউ প্রতিবাদ জানাতে চলে আসায় উদ্বিগ্ন হন রাজ্যপাল। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও একবার রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।
No comments:
Post a Comment