প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: ভালো নেই ফিরহাদ হাকিম। জ্বরে কাবু, হতে পারে করোনা টেস্ট। কিন্তু চিকিৎসা করাতে এসএসকেএমে যেতে নারাজ মন্ত্রী। প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালেই চিকিৎসা করানো হোক, এমনটাই দাবী ফিরহাদের। জেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুর থেকেই জ্বর এসেছিল, এখনও জ্বর রয়েছে। দেওয়া হয়েছে প্যারাসিটামল। জানা গিয়েছে, তাঁর করোনা পরীক্ষাও করা হবে, যার প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে নারদ কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই গ্রেফতার করে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে। সেই সঙ্গেই প্রাক্তন মেয়র তথা সম্প্রতি বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ করা শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করে সিবিআই। এদিন সকালে নারদ কাণ্ডে রাজ্যের পরিবণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সহ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে তুলে নিজাম প্যালেসে এনে গ্ৰেফতারি পরোয়ানায় সই করানো হয়। তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ। নিজাম প্যালেসে ধুন্ধুমার কাণ্ডের পাশাপাশি রাজভবনেও বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি নেতা-মন্ত্রী দের গ্রেফতারের খবর পেয়ে সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান। তিনি দাবী করেন, বেআইনি ভাবে তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের সিবিআই গ্রেফতার করেছে। তাই তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে।
এরপর সোমবার বিকেলেই ব্যাঙ্কশাল আদালত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ববি বাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়দের অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করেছিল। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবং গোটা দিনের ঘটনা বর্ণনা করে সোমবার রাতেই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানায় সিবিআই। সেই মামলার রায় দেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। এদিন রাতেই ফিরহাদ-মদন-সুব্রত ও শোভনের জামিনের নির্দেশের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে।
কিন্তু সেখানেই একে একে অসুস্থ হয়ে এসএসকেএমে শয্যা নেন মদন-শোভন-সুব্রত। কিন্তু ফিরহাদ জেলেই রয়েছেন। এমনকি অসুস্থ বোধ করলেও এসএসকেএমে যেতে নারাজ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী।
No comments:
Post a Comment