পাকিস্তানের পিছনে ভারত, মুখ পুঁড়ল মোদী সরকারের

প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: ব্লুমবার্গ কোভিড রেসিলেেন্স র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত ৫০ তম এবং পাকিস্তান ৪৬ তম স্থানে রয়েছে।  ইস্রায়েলের জনসংখ্যার প্রায় ৬০% দুটি ভ্যাকসিন ডোজ গ্রহণের পরে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এবং স্বাভাবিক জীবনে দ্রুত গতিতে ফিরে আসে।

ব্লুমবার্গ এজেন্সি আরও উল্লেখ করেছে যে, ইস্রায়েলে শুধুমাত্র এমআরএনএ পদ্ধতির ভিত্তিতে ফাইজার ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে সাফল্যের সম্ভাবনা বেড়ে যায় । কারণ হিসাবে বলা হয়েছে এই ভ্যাকসিনগুলি করোনায় সংক্রমণ রোধ করে এবং অন্যের সংক্রমণকে রোধ করে।

 বিপরীতে, সিঙ্গাপুর, যা গত মাসে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল, এই মাসে শীর্ষ থেকে প্রত্যাবর্তিত হয়েছিল এবং দ্বিতীয় স্থানে নেমেছিল।  এশিয়ার অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলি, যারা এখন পর্যন্ত প্লেগ মোকাবেলায় প্রশংসিত হয়েছে, তারা দ্রুত হ্রাস পেয়েছে।  সুতরাং, উদাহরণ স্বরূপ, তাইওয়ান এবং জাপান টিকা দেওয়ার ধীর গতিতে এবং সংক্রামকের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে শীর্ষ দশে নেমেছে।

প্রতিমাসে প্রকাশিত করোনার রেজিস্ট্যান্স সূচকটি সর্বনিম্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যাঘাতের সাথে প্লেগটি কোথায় সবচেয়ে কার্যকরভাবে পরিচালিত হয় তা নির্ধারণের জন্য বিস্তৃত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।  ডেটাগুলির মধ্যে মৃত্যুর হার, ইতিবাচক পরীক্ষার হারের পাশাপাশি ভ্যাকসিনগুলি অ্যাক্সেস এবং চলাফেরার স্বাধীনতা অন্তর্ভুক্ত।  প্রতি মাসে দেশগুলি এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে একটি স্কোর অর্জন করে।

নিউজিল্যান্ড এ মাসে আবার প্রথম স্থান অর্জন করেছে, যেখানে এটি এপ্রিল অবধি টানা ৫ মাস ধরে ছিল এবং করোনাকে প্রায় পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে হয়।  তদনুসারে, ফ্লাইট বাদে সমস্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছিল।  যাইহোক, নিউজিল্যান্ডে এই টিকা ব্যবহার শুরু হয়েছে মাত্র, এবং এখনও পর্যন্ত জনসংখ্যার মাত্র ৫% টিকা দেওয়া হয়েছে, সুতরাং দেশটি এখনও আরও প্রকোপজনিত অঞ্চলে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।  তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, চতুর্থ ইস্রায়েল এবং দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ পাঁচে আছে।

আমেরিকা ১৩ তম স্থানে রয়েছে

অন্যদিকে আর্জেন্টিনা রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ এবং এমনকি আরও শক্তিশালী  হয়ে সর্বশেষে অবস্থিত।

এশিয়ার পরিস্থিতির বিপরীতে, ইউরোপীয় দেশগুলি বেশিরভাগ র্যাঙ্কিংয়ের উচ্চতা থেকে উপকৃত হয়েছে, যেমন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রও, টিকা দেওয়ার হার বৃদ্ধির জন্য সাফল্য পেয়েছে এবং অর্থনীতিকে পুনরায় খুলতে এবং একটি মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা বাতিল করতে সহায়তা করে।  

ফ্রান্স এবং পোল্যান্ডের মতো দেশগুলিও তাদের র‌্যাঙ্কিংয়ে দ্বি-অঙ্কের বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে, টিকা দেওয়ার হার এবং বিধিনিষেধ অপসারণের হারের মধ্যে দিয়ে ।

এটি এখন দেখার বিষয় যে ভারত এবং দক্ষিণ আমেরিকাতে চিহ্নিত নতুন এবং উদ্বেগজনক মিউটেশনগুলি  স্বাভাবিকের দিকে ফিরে যেতে বিলম্ব করবে কি না , এবং এশিয়াতে তারা ভ্যাকসিনগুলির জন্য আতঙ্ক হ্রাস করতে সক্ষম হবে কিনা।