প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে দেখা করতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর কোচবিহারে পৌঁছেছেন। কোচবিহারে পৌঁছনোমাত্রই জগদীপ ধনখর বলেছিলেন যে সংবিধান রক্ষা ও প্রয়োগের জন্য প্রচেষ্টা করা আমার দায়িত্ব। এদিকে, জাতীয় তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান বিজয় সাম্পলাও ১৩ ও ১৪ মে বাংলা সফর ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ দলিত সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে দেখা করতে তিনি তাঁর দলের সাথে যাবেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তফসিলি জাতি কমিশনকে করোনার কারণে এই সফর স্থগিত করতে বলেছিলেন। তবে বিজয় সাম্পলা সরকারের অনুরোধের পরেও দু'দিনের সফরের জন্য বলেছেন।
২ রা মে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে সহিংসতায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছিল। এই লোকদের বেশিরভাগই বিজেপির সাথে যুক্ত ছিলেন। কোচবিহার ছাড়াও জগদীপ ধনখর আসামেও যাচ্ছেন, যেখানে কিছু লোক সহিংসতা থেকে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। হেমন্ত বিশ্ব সরমা জানিয়েছিলেন যে ৩০০ থেকে ৪০০ জন বিজেপি কর্মী বাংলা থেকে পালিয়ে আসামে আশ্রয় নিয়েছেন। এই লোকেরা রাজ্যের সহিংসতা থেকে বাঁচতে আসামে পালিয়েছে। আসাম সরকার এই লোকদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
তবে কোচবিহার সফরের জন্য জগদীপ ধনখরকে লক্ষ্য করেছেন সিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন যে এটি নিয়ম লঙ্ঘন এবং গভর্নর তার ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ধনখর বলেছেন যে তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন যা সংবিধানের আওতায় রয়েছে। এর সাথে তিনি সিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সংবিধানের শপথ অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি চিঠিতে রাজ্যপালকে বলেছিলেন যে আপনি মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার ক্ষমতা প্রত্যাখ্যান করছেন।
No comments:
Post a Comment