প্রেসকার্ড ডেস্ক: করোনার মাঝেই বাংলায় আছড়ে পড়লো ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ইয়াসের তান্ডবে লন্ডভন্ড সেচ, কৃষি ও মৎস্যক্ষেত্র। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর।ঝড় শেষে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নবান্নে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে একটা প্রাথমিক খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ বাঁধ ভেঙেছে ১২৪টি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি । দুর্যোগে আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি মানুষ ।ভরা কোটালে ঘূর্ণিঝড় বলেই বেশি ক্ষতি। জল ঢুকে গেছে অনেক গ্রামে ।’
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী যোগ জানান যে,রিলিফ সেন্টারে আনা এক ব্যক্তি মাছের জাল ফেলতে গিয়ে,ঝড়ের কবলে পড়ে এবং সেখানেই দুর্ঘটনাবশত জলে ডুবে মারা যান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০ লক্ষ ত্রিপল, রিলিফ - ১০ কোটি টাকার রিলিফ পাঠানো হয়েছে।১৪ হাজার রিলিফ ক্যাম্প গঠন করা হয়েছে।১৫ লক্ষের বেশি মানুষকে রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নোনাজল ঢুকে যাওয়ায় কৃষিজমির ক্ষতি হয়েছে। মৎস্যচাষেরও ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফুলচাষ ও গবাদি পশু কালচারে।
মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, এটা পুরোটাই প্রাথমিক রিপোর্ট। ফিল্ড সার্ভের পর, পুরোটা বলা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ডিটেল অ্যাসেস করব। নদী বাঁধ, বাড়ি ভাঙা, রাস্তা, গর্ভমেন্ট বিল্ডিং, জেটি-ফুল ড্যামেজ রিপোর্ট পরে হবে।
এছাড়াও ক্ষতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও উত্তর ২৪ পরগণা। এই জেলা গুলিতে ঝড়ের প্রভাব পড়েছে ভয়াবহ। এই ক্ষতিগ্রস্থ জায়গাগুলি আকাশপথে পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার তিনি সাগর, হিঙ্গলগঞ্জ দিঘা পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও সেখানে প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন তিনি।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুক্রবার আকাশপথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।সঙ্গে থাকবেন খোদ মুখ্যসচিব।এছাড়াও থাকবে রাজ্য প্রশাসনের একটি দল।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, শুক্রবার প্রথমে সাগর পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী ও তার দল। আকাশপথে সমগ্র এলাকা পরিদর্শনের পর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার পরিস্থিতি দেখা হবে। আকাশপথে খতিয়ে দেখা হবে সুন্দরবন এলাকার পরিস্থিতি। এরপর সেখান থেকে সাগরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
No comments:
Post a Comment