প্রেসকার্ড ডেস্ক: রাজ্যে বাড়ছে লকডাউন,কিন্তু এই লকডাউনে কার্যত খুচরো দোকানকে আংশিক ছাড় দেওয়ার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে খুচরো দোকানগুলি ।
সেইসঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজে ছাড় দেওয়া হল। টিকাকরণের পর নির্মাণ শিল্পের কর্মীদের কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধের ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে তা কিছুটা লাঘব করলো রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে ছাড়ের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেইমতো কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এরপর ২৭ মে এই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক দফায় ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র জুটমিলগুলিতে কর্মী সংখ্যা ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছিল। এদিন খুচরো দোকানগুলিকে আংশিক ছাড়ের কথা জানানো হল।
এছাড়াও,হাসপাতাল, নার্সিং হোম, ডায়াগনিস্টিক সেন্টার, টিকা নেওয়ার জন্য, বিমানবন্দর ও সংবাদমাধ্যম প্রয়োজন ছাড়া প্রাইবেট গাড়ি, অটো-রিক্সা চলবে না আগামী ১৫ দিনের জন্য।
খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী ছাড়া রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না কোনও গাড়ি।৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চা-বাগান ও ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে জুট-মিল চালাতে হবে।
ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে ২ টো পর্যন্ত। এটিএম লকডাউনের কড়াকড়ির বাইরে।ই-কমার্স ও অনলাইন ডেলিভারির ক্ষেত্রে লকডাউনের কড়াকড়ি প্রযোজ্য নয়।
বিয়েতে সর্বোচ্চ ৫০ জন আমন্ত্রিত। সৎকারে সর্বোচ্চ ২০ জনকে থাকার ছাড়পত্র।পেট্রোল পাম্প, গাড়ি সারানোর দোকান, গ্যাসের দোকান লকডাউনের কড়াকড়ির বাইরে।
No comments:
Post a Comment