প্রেসকার্ড ডেস্ক: নির্ধারিত সময়ের আগেই ওড়িশার ধামড়া ও বালেশ্বরের মাঝে আছড়ে পড়লো 'ইয়াস'। ল্যান্ডফল শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ। এই ল্যান্ডফল চলবেকয়েক ঘণ্টা ধরে। সাইক্লোনের আগেই অংশটি ঢুকতে শুরু করে স্থলভাগে। এই মাঝের অংশটি ঢোকার সময় ঝড়ের বেগ ও বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। টেল অংশটি অতিক্রম করে যাওয়ার সময় ফের ঝড়ের দাপট বাড়বে। বাড়বে বৃষ্টি।
ঝড়ের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে নৌবাহিনী এবং জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) ছাড়াও সমস্ত দল সতর্ক এবং যে কোনও হুমকির মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আসার আগেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০টি জেলায় নামানো হয় সেনা। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পুরুলিয়া, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি ও নদিয়ায় ১৭ কোম্পানি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সতর্কতায় আগে থেকেই সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিভিক ভলান্টিয়ার, অফিসার সহ ৩ লক্ষ পুলিশ মোতায়েত করা হয়েছে।
এনডিআরএফ-এর মোট ১০৯ টি দল ঝড়-ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলিতে মোতায়েন রয়েছে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ৩৫ টি দল, ওড়িশায় ৫২ টি দল মোতায়েন রয়েছে। এনডিআরএফ কোস্টগার্ডের কর্মীরা সমুদ্রকে পর্যবেক্ষণ করছেন। ঝড় মোকাবেলায় ১৯ টি জাহাজ এবং ৪ টি বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আন্দামানে কোস্টগার্ডের জাহাজও প্রস্তুত। ঝড়ের ঘটনায় যদি কোনও ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, এটি মোকাবেলার জন মকড্রিলও তৈরি করা হয়েছে। এনডিআরএফ এবং রাজ্য সরকারের ত্রাণ কর্মীরা উভয়ই এতে অংশ নিয়েছে।
পরের কয়েক ঘন্টার মধ্যে 'ইয়াস' উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানবে এবং দুপুরের পরে এটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ঝড়ের প্রভাব ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গসহ ৮ টি রাজ্যে দেখা যাবে।
No comments:
Post a Comment