প্রেসকার্ড ডেস্ক: দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে 'ইয়াস'।আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, 'ইয়াস' একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে এবং ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। পরের কয়েক ঘন্টার মধ্যে 'ইয়াস' উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানবে এবং দুপুরের পরে এটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ঝড়ের প্রভাব ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গসহ ৮ টি রাজ্যে দেখা যাবে।
ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস'-এর সময় প্রতি ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি বেগে উপকূলীয় অঞ্চলে বাতাস বইতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, পরে বাতাস প্রতি ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিতেও পৌঁছতে পারে। ঝড়টি আঘাত হানবার আগেই সমুদ্রে জলের স্তর বাড়ছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল বাতাস বইছে। ঝড়ের কারণে অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে।
ঝড়ের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে নৌবাহিনী এবং জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) ছাড়াও সমস্ত দল সতর্ক এবং যে কোনও হুমকির মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। এনডিআরএফ-এর মোট ১০৯ টি দল ঝড়-ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলিতে মোতায়েন রয়েছে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ৩৫ টি দল, ওড়িশায় ৫২ টি দল মোতায়েন রয়েছে। এনডিআরএফ কোস্টগার্ডের কর্মীরা সমুদ্রকে পর্যবেক্ষণ করছেন। ঝড় মোকাবেলায় ১৯ টি জাহাজ এবং ৪ টি বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আন্দামানে কোস্টগার্ডের জাহাজও প্রস্তুত। ঝড়ের ঘটনায় যদি কোনও ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, এটি মোকাবেলার জন মকড্রিলও তৈরি করা হয়েছে। এনডিআরএফ এবং রাজ্য সরকারের ত্রাণ কর্মীরা উভয়ই এতে অংশ নিয়েছে।
মঙ্গলবার,ইয়াস স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই হঠাৎ ঝড় হয় ব্যান্ডেলে। বিকেলে ঝড়ের তাণ্ডব। তছনছ ব্যান্ডেলের একাংশ। এরপরে গঙ্গা পেরিয়ে ঝড় আছড়ে পড়ে হালিশহরে। বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে ঝড় শুরু হয়। ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঝড়ে ইতিমধ্যেই ৪,৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানানো হয়েছে এই ঝড়ের কোনও পূর্বাভাসই ছিল না নবান্নের কাছে। ‘হালিশহর, চুঁচুড়ায় টর্নেডোতে ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment