প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস কথিত 'কোভিড টুলকিট' মামলায় মঙ্গলবার ১১ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ট্যুইটের বরাত দিয়ে মাইক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইট ট্যুইটারকে এই নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিল, যেটি 'ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া' এবং 'জালিয়াতি' - র অন্যান্য মামলায় করা হয়।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, পীযূষ গোয়েল, স্মৃতি ইরানি, রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রহ্লাদ যোশী, ধর্মেন্দ্র প্রধান, রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক, থভরচাঁদ গহলত, হর্ষবর্ধন, মুখতার আব্বাস নকভি এবং গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের ট্যুইটের ইউআরএলগুলি ট্যুইটার ইন্ডিয়াকে একটি চিঠির মাধ্যমে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।
সুরজেওয়ালা ট্যুইটার ম্যানেজমেন্টকে এক চিঠিতে বলেছিলেন যে, 'জাল সামগ্রী প্রচারের জন্য ট্যুইটার প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার' এবং 'ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া'র অন্যান্য মামলায় ব্যবস্থা গ্রহণের যে মানদণ্ড গৃহীত হয়, সেটি এই মন্ত্রীদের ট্যুইটের ক্ষেত্রেও গ্রহণ করা উচিৎ।
এই মুহুর্তে, কংগ্রেসের এই পদক্ষেপের বিষয়ে এই প্রবীণ মন্ত্রীরা এবং বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত সপ্তাহে ট্যুইটার বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের 'কোভিড টুলকিট' সম্পর্কিত ট্যুইটটিকে 'টেম্পারড' বলে বর্ণনা করেছে।
বিজেপি অভিযোগ করেছে যে কংগ্রেস একটি টুলকিট তৈরি করে করোনা ভাইরাসের নতুন রূপকে 'ভারতীয় রূপ' বা 'মোদী রূপ' হিসাবে বর্ণনা করেছে এবং দেশের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।
তবে কংগ্রেস সমস্ত অভিযোগগুলি প্রত্যাখ্যান করে দাবি করে যে, বিজেপি তাদের বদনাম করার জন্য নকল 'টুলকিট' ব্যবহার করছে। কংগ্রেসও বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে 'জালিয়াতি'র মামলা করেছে।
No comments:
Post a Comment