প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার বলেছিল যে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে জনসংখ্যার দুই শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অর্থাৎ, ৯৮% জনসংখ্যার এখনও সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, তাই লোকদের সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব লাভ আগরওয়াল বলেছেন যে এত সংখ্যক সংক্রমণের খবর পাওয়া সত্ত্বেও আমরা এটিকে জনসংখ্যার দুই শতাংশেরও কম সীমাবদ্ধ রাখতে সফল হয়েছি।
সংক্রমণের হ্রাস
আগরওয়াল বলেছেন যে গত ১৫ দিনে চিকিৎসাধীন মামলার সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। ৩ রা মে সক্রিয় রোগীরা ছিল ১৭.১৩ শতাংশ, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৩ শতাংশে। একইভাবে, পুনরুদ্ধারের শতাংশও ৮১.৭ থেকে বেড়ে ৮৫.৬ শতাংশ হয়েছে। আটটি রাজ্যে কোভিড-১৯ এর এক লক্ষেরও বেশি মামলা রয়েছে এবং ২২ টি রাজ্যে সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশেরও বেশি। এই সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে কোভিড-১৯ এর ঘটনা কমেছে এবং সংক্রমণের হারও কমেছে। যদিও ১৯৯ টি জেলায় কোভিড-১৯ ক্ষেত্রে এবং সংক্রমণের হার গত দুই সপ্তাহে হ্রাস পেয়েছে।
সরকার প্রদত্ত ২ শতাংশের পরিসংখ্যান দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত রেকর্ড হওয়া করোনার সংক্রমণের মোট মামলার উপর ভিত্তি করে তৈয়করা হয়েছে, আইসিএমআর দ্বারা পরিচালিত সেরো সমীক্ষায় অন্য কিছু বলা হয়েছে। এই সমীক্ষা অনুসারে, গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ, দেশের জনসংখ্যার পঞ্চমাংশ অর্থাৎ ২১.৪ শতাংশ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
No comments:
Post a Comment