প্রেসকার্ড ডেস্ক: সংসারের চেয়ে বড় সুখ পৃথিবীতে আর কিছু নেই। একজন ব্যক্তি সর্বদা ক্লান্ত হয়ে যায়, বিচলিত হয়ে ওঠে এবং তার এই সমস্যাগুলি দূর করতে পারে তার পরিবারের সদস্যরাও। প্রতিটি ব্যক্তি চায় যে পরিবারে শান্তি এবং সমৃদ্ধি সবসময় থাকুক । তবে আপনিও নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, অনেক সময় ভাল পারস্পরিক সমন্বয় থাকা সত্ত্বেও, বাড়িতে প্রায়ই বিভেদ এবং পরিবারে বিতর্কের পরিবেশ থাকে । ঘরে প্রতিদিন এই ঝগড়া হওয়ার কারণে অনেক সময় ঘর ভেঙে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, আমরা আপনাকে কয়েকটি খুব সহজ ব্যবস্থা বলছি, যার সাহায্যে আপনার বাড়ির মধ্যে বিবাদের পরিবেশ শেষ হবে এবং শান্তি বজায় থাকবে।
যে বাড়িতে প্রতিদিন নানান লড়াই ও কোন্দল হয় সেখানে সেই জায়গায় লক্ষ্মীর আবাস নেই। এর জন্য বাস্তু দোষ , গ্রহ দোষ, শনির মায়ার মতো অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে। তবে এই সহজ ব্যবস্থাগুলির সাহায্যে আপনি ঘরে অবশ্যই শান্তির পরিবেশ তৈরি করতে পারেন।
১.কর্পূর আপনাকে বাড়ির সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে পারে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটি পাত্রে কর্পূর নিয়ে গরুর খাঁটি ঘিতে নিমজ্জিত করে পুড়িয়ে ফেলুন (কর্পুর প্রতিকার)। এই প্রতিকারের মাধ্যমে ঘরের দুর্দশা দূর হয় এবং ঘরে শান্তি আসে। আপনি চাইলে সপ্তাহের যে কোনও একদিন কর্পূর জ্বালিয়ে ঘরে দেওয়ার ফলেও বাড়িতে বিতর্ক হয় না এবং শান্তি বিরাজ করে।
২. মঙ্গলবার হনুমান ঠাকুরের সম্মুখে একটি পঞ্চমুখী প্রদীপ জ্বালান এবং অষ্টগন্ধা পুড়িয়ে গোটা ঘরে সুগন্ধ ছড়িয়ে দিন। এইভাবে, ঘরে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয় এবং ঘরে সুখ এবং শান্তি আসে।
৩. বিবাদ মোকাবেলায় জাফরান প্রতিকারও আপনার পক্ষে উপকারী হতে পারে। এর জন্য এক চিমটি জাফরান নিন এবং এটি জলে মিশ্রিত করুন। স্নানের পর পূজা করুন এবং তারপরে জাফরানের তিলক লাগান। জাফরান দিয়ে দুধ পান করলেও ঘরে শান্তি আসে এবং ঝামেলা হয় না ।
৪. লবণের প্রতিকার ঘরের মধ্যে বিভেদ এবং দুর্দশা দূর করতে সহায়তা করে। এর জন্য, জলের সাথে সামান্য লবণ যোগ করুন, যা ঘরের মোপ ব্যবহার করতে ব্যবহৃত হয় এবং এটি দিয়ে পুরো ঘরে এমওপি প্রয়োগ করুন। এটি করলে ঘরের নেতিবাচকতা দূর হয় এবং বাস্তু দোষ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
৫. যে সকল বাড়িতে সর্বদা বিভেদ এবং ঝামেলা থাকে, সেখানে মাসে একবার সত্যনারায়ণ পূজা করুন,সুখ ও শান্তি বজায় থাকবে। এটি ঘরে সুখ এবং সমৃদ্ধি এনে দেবে।
(দ্রষ্টব্য: এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্যগুলি সাধারণ তথ্য এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ।প্রেসকার্ড নিউজ এগুলি নিশ্চিত করে না)
No comments:
Post a Comment