প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : গ্রীষ্মের মরশুমে ঠান্ডা জিনিস সেবন করলে আরাম পাওয়া যায়। গ্রীষ্মে, ফলগুলি ফলের ক্ষেত্রে আমকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করা হয়, এটি অনেকগুলি দুর্দান্ত পানীয়ও তৈরি করে যা লোকে পছন্দ করে। আম আচার ও চাটনিতেও ব্যবহৃত হয়। আম খুবই সুস্বাদু, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও কার্যকর। এটিতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ, শর্করা এবং শর্করা রয়েছে। এটি পেট, লিভার, ফুসফুসের রোগ এবং আলসার থেকে মুক্তি দেয়। আম জুস তৈরি করতেও ব্যবহার হয়। আম থেকে তৈরি জুস উত্তাপের জন্য খুব সতেজকর, যা আমের, দুধ এবং দই থেকে প্রস্তুত।
বিপি নিয়ন্ত্রণ রাখে:
আমের জুস শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যারা গ্রীষ্মের সময় ৩০ বছর পেরিয়ে গেছেন তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়তে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি আম খান তবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, পাশাপাশি শরীরকেও শীতল রাখা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস রোগীরা গ্রীষ্মেও আমের মসৃণ খাবার গ্রহণ করতে পারেন। আপনিও যদি গ্রীষ্মে শীতল হতে চান তবে আমের জুস খান। আসুন জেনে নিই কীভাবে এটি ঘরে বসে তৈরি করবেন।
উপাদান:
আম, দুধ, দই, এলাচ এবং মধু ।
পদ্ধতি:
আমের জুস তৈরি করতে প্রথমে আমের খোসা ছাড়ান এবং বীজটি আলাদা করুন।
জুস করতে আমটিকে মিক্সারে পিষে নিন।
এবার আমের পেস্টে ঠান্ডা দই এবং দুধ মিশিয়ে ফেনা হয়ে যাওয়া পর্যন্ত মিক্সারে পিষে নিন।
এই পানীয়টি মিষ্টি করতে আপনি মধু ব্যবহার করতে পারেন।
এই প্রস্তুত পেস্টটি একটি গ্লাসে ঢেলে এলাচের বীজ যোগ করুন এবং এটি গ্রাস করুন।
আমের জুস পান করার সুবিধা:
জুসে ব্যবহৃত দইতে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় ও দাঁত স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। দইতে ফসফরাস রয়েছে, যা ক্যালসিয়ামের সাথে একত্রে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এলাচ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মুখের গন্ধ থেকে মুক্তি দেয়। এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। আমের জুস গ্রীষ্মে আপনাকে স্বাস্থ্যকর রাখবে।
No comments:
Post a Comment