প্রেসকার্ড ডেস্ক: শুকনো কাশি এবং শ্বাসকষ্ট উভয়ই করোনার ভাইরাস এবং হাঁপানি রোগের সাধারণ লক্ষণ, যার কারণে হাঁপানির সমস্যা বা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে রোগী এই সমস্ত লক্ষণগুলি অনুভব করছেন কিনা তা সনাক্ত করা প্রায়শই কঠিন। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে অ্যাজমা রোগীদের সতর্ক হওয়া এবং কোভিড পরীক্ষা করা খুব জরুরি, যাতে সময় মতো চিকিৎসা শুরু হতে পারে।
উভয় রোগ ফুসফুসকে প্রভাবিত করে
হাঁপানি এবং করোনার ভাইরাস উভয়ই রোগ ফুসফুসকে প্রভাবিত করে। যদি কোনও রোগীর হাঁপানি বৃদ্ধি পায়, তবে তার ফুসফুসে ফোলাভাব দেখা দেয়, যার কারণে করোনার লক্ষণগুলির ঝুঁকি গুরুতর হয়। সুতরাং, হাঁপানি রোগীদের নিজেদের যত্ন নেওয়া এবং এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইনহেলার এবং হাঁপানির ঔষুধ করোনার গুরুতর লক্ষণগুলি হ্রাস করতে পারে
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা অনুসারে, হাঁপানির চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি সাধারণ ড্রাগ কোভিড ১৯ রোগীর পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সহায়তা করতে পারে। অধ্যয়নটি ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যার অনুযায়ী ইনহেলারের মাধ্যমে নেওয়া গ্লুকোকোর্টিকয়েড ড্রাগগুলি গুরুতর কোভিড -১৯ এবং হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
মাস্ক না লাগিয়ে বাইরে যাবেন না
অ্যাজমা রোগীরা প্রায়শই অভিযোগ করেন যে, মাস্ক লাগানোর পর তাদের শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এবং মনে হয় দম বন্ধ হয়ে আসছে। সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখন করোনার কেসগুলি এত বেশি বাড়ছে, সেখানে হাঁপানির রোগীদের একেবারে বাড়ি থেকে বের হওয়া উচিত নয়।
ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন
হাঁপানির রোগীদের যদি কোনও কোভিড সংক্রমণ থাকে, তবে তারা পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত, ভ্যাকসিন গ্রহণ করা উচিত নয়। এছাড়াও, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের পরে যদি হাঁপানি রোগীদের মধ্যে কোনও সংক্রমণ বা অ্যালার্জি থাকে, তবে পুনরুদ্ধারের কমপক্ষে ১ মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া উচিত। এছাড়াও, ভ্যাকসিন গ্রহণের আগে অবশ্যই আপনাদের ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
(দ্রষ্টব্য: কোনও প্রতিকার নেওয়ার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড নিউজ এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।)
No comments:
Post a Comment