খুলে নেওয়া হয় কাপড় , দেওয়া হয় ধর্ষণের হুমকি ! আক্রান্ত সুজাতা

নিজস্ব সংবাদদাতা: গ্রামবাসীদের ক্ষোভের হাত থেকে পড়িমড়ি করে পালালেন তৃণমূলের প্রার্থী সুজাতা মন্ডল। এদিন সুজাতা মন্ডল ভোট চলাকালীন সময়ে আরামবাগের আরান্ডি  গ্রামে যান আর সেখানেই ক্ষুব্দ গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পুলিশ। কিন্তু গ্রামবাসীরা ক্ষোভ দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে অসহায় হয়ে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল। এরপর সুজাতা মন্ডল এর গাড়ির চালক পড়িমড়ি করে  চাকায় গতি তুলে গ্রামবাসীদের মাঝখান থেকে  পালিয়ে যায়। সুজাতা মন্ডলের স্বামী বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

স্বামীকে ছেড়ে সুজাতা তৃণমূলে যাওয়ার পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে কার্যত ছেদ পড়েছে। দুজনের মধ্যে কথা নেই একে অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়িও বঙ্গবাসী দেখেছে । সুজাতা আক্রান্তের ঘটনায় সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, তৃণমূলের উপর দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। আর সে কারণেই এই ঘটেছে । স্বামীর এই দাবি শোনার পর তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন সুজাতা। কাঁদতে কাঁদতে বলেন ওনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। যে দলের সাথে উনি রয়েছে তাদের থেকে এই ব্যবহার আশা করা যায়।

মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটে আরামবাগের আরাণ্ডি গ্রামে যান সুজাতা মন্ডল আর সেখানেই তিনি আক্রান্ত হন। সুজাতা মন্ডল বলেন আরাণ্ডিতে ২৬৩ নং বুথে ভোটাররা ভোট দিতে পারছিল না। আর তা শুনে সেখানে পৌঁছে যান। তার আরও দাবী, মহিলাদের কাপড় খুলে নেওয়া হচ্ছিল। দেওয়া হচ্ছিল ধর্ষণের হুমকি। আর তার প্রতিবাদ করায়  সুজাতাকে চ্যালাকাঠ দিয়ে পেটানো হয়। ফাটিয়ে দেওয়া হয় মাথা। চোট পান পায়ে কোমরে পিঠে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, অমিত শাহের এত ভয় আমাকে যে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে। উনারা আমার কাছে ভিক্ষা করতে পারতেন।

সুজাতা বিজেপিকে কাঠ গড়ায় তোলার পর সৌমিত্র খাঁ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা ভোট চুরি করেছে আর তার জেরে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গ্রামবাসীরা। তৃণমূলের লোকেরা আমাদের কর্মীদের মারধর করেছেন। তৃণমূল যে অত্যাচার করেছে মানুষ তার উত্তর দিয়েছে। স্বামী সৌমিত্রের এই দাবি শুনে জ্বলে ওঠেন তেলেবেগুনে। সুজাতা বলেন, ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে । কাঁদতে কাঁদতে বলেন, শরীরে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তৃণমূলের জন্য লড়াই করব।