লবঙ্গ ভারতীয় মশালা গুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মশলা । এটি কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি হাজার হাজার বছর ধরে ভারতীয় আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শুধু এটিই নয়, বিজ্ঞানীরাও এর সুবিধাগুলি সম্পর্কে অনেক গবেষণা করেছেন এবং এর সুবিধা গ্রহণ করেছেন। আমরা সাধারণত এটি কাশি এবং সর্দি-পেটের ব্যথার চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করি। তবে আসুন আমরা আপনাকে বলি যে এই ছোট চেহারার মশলাটি কিভাবে অনেক বড় রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান যেমন ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ফোলেট, রাইবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ, থায়ামিন, ভিটামিন ডি, ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি । এর বাইরে এটিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
এটি ব্যবহার করতে শিখুন
আপনি যদি রাতের খাবারের পরে এবং প্রতি রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে দুটি লবঙ্গ চিবান এবং গরম জল দিয়ে এটি খান, তবে এর গুণমান বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এভাবে ব্যবহারের ফলে শরীরের অনেক সমস্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে এমনকি দূরও হতে পারে।
এর সুবিধা
কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, অ্যাসিডিটি ইত্যাদির সমস্যাটি রাতে গরম জল দিয়ে খেলে নিরাময় হয়।
-লবঙ্গে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, ফুসকুড়ি এবং ব্রণর সমস্যা দূর করে।
দাঁতে ব্যথা হলে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটাকে হালকা ভাবে পান দিয়ে চিবিয়ে নিন, এটি করে আপনি ব্যথায় আরাম পাবেন এবং কোনও সংক্রমণ হবে না।
-যদি গলায় ব্যথা বা কাশি হয় তবে রাতে লবঙ্গ খাওয়া উচিত। আরাম পাবেন।
-যদি আপনার হাত ও পায়ে কাঁপুনি রয়েছে, তারপরে রাতের খাবারের পরে লবঙ্গ চিবিয়ে নিন এবং হালকা গরম জল দিয়ে পান করুন। আপনার সমস্যা শিথিল হতে পারে।
- রাতে লবঙ্গ সেবন করা রোগ প্রতিরোধকে দ্রুত বিকাশ করে।
এটি ভাইরাল সংক্রমণ, ব্রঙ্কাইটিস, সাইনাস এবং হাঁপানিতেও ত্রাণ সরবরাহ করে।
এটি আমাদের হাড়কে মজবুত ও স্বাস্থ্যকরও রাখে।
- রক্ত চিনি এবং ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করে।
- রাতে লবঙ্গ সেবন করে এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে লিভারকে সুরক্ষা দেয়। (অস্বীকৃতি: এই নিবন্ধে দেওয়া তথ্য এবং তথ্যগুলি সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে। presscard-news এগুলি নিশ্চিত করে না .এগুলি কার্যকর করার আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন))
No comments:
Post a Comment