ভোটের ৫ বলিতেই রণক্ষেত্র উত্তর বঙ্গ, দক্ষিণে তুঙ্গে অশান্তি

 চতুর্থ দফা নির্বাচনে বাংলার মাটি ভিজলো ভোটারদের রক্তে। তৃতীয় দফার রেকর্ড ভেঙে চতুর্থ দফায় ভাঙলো গাড়ি , আক্রান্ত হলেন প্রার্থী ও সংবাদমাধ্যম, আর এ প্রসঙ্গে  চতুর্থ দফার ভোটের দিন শিলিগুড়িতে প্রচার করতে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

 এদিনের সভা থেকে বারংবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। এমনকি কোচবিহারের 5 জনের মৃত্যুর ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহার মাথাভাঙ্গা ও শীতলকুচিতে মৃত্যু হয় মোট পাঁচ জনের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে 5 জনের মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই।

 আর এই ঘটনার প্রসঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন কোচবিহারের ঘটনা দুঃখজনক মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ।  কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে বাহিনীর সদস্যরা । যদিও শিলিগুড়িতে নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন তৃণমূলের গুন্ডা রাজের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে । কমিশন যাতে এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেয় সেই দাবিও করেছেন তিনি।

 মোদি বলেছেন কমিশনকে আরজি দোষীদের শাস্তি হোক আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে নরেন্দ্র মোদী বলেন এই হিংসা 10 বছরের কুকর্ম থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারবে না । তৃণমূল যাচ্ছে। বিজেপি আসছে । খারাপের শেষ হবে ভালোর শুরু হবে ।

দ্বিতীয় টিএমসির দিদিও টিএমসির গুন্ডামি বাংলায় চলতে দেওয়া যাবে না ।দিদির স্বেচ্ছাচারিতা চলবে না। নিজের হার দেখে আমার উপর রাগ বেড়ে যাচ্ছে দিদির।

 প্রসঙ্গত শীতলকুচি বিধানসভার অন্তর্গত মাথাভাঙ্গা জোড়পাটকিতে গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের। পরিবারের দাবি কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে মৃতদের। আর স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি 4 জনের মৃত্যু হলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন । 

কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল সে বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন । এদিন 18 বছরের এক কিশোরের মৃত্যু দিয়েই শুরু হয় ভোটগ্রহণের প্রথম বলি। বিজেপির দাবি যুবকের মৃত্যু হয়েছে তিনি বিজেপির কর্মী আর তৃণমূলের দাবি তাদের কর্মীর মাথায় গুলি লেগেছে । তবে মৃত কিশোর তৃণমূল নাকি বিজেপি দুই দলের দলের দড়ি টানাটানির মধ্যেও পরিষ্কার হয়নি এখনো নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে ঘটনা রিপোর্ট তলব করেছে।