প্রেসকার্ড ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের গতি আবারও বিশ্বের অনেক দেশে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে, যার উপর টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি দ্রুত করার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ফিলিপিন্স থেকে এক অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে, যা সবাইকে অবাক করেছে।
ফিলিপিন্সের লোকেরা ঘোড়ার ওষুধ খাচ্ছে
ফিলিপিন্সের লোকেরা, যারা ভ্যাকসিনের ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে, তারা মহামারীটি এড়াতে এখন ঘোড়া-ওষুধযুক্ত 'আইভারমেকটিন' ব্যবহার করছে। এর প্রভাব এমন যে দেশের কিছু রাজনীতিবিদ এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবকরাও এই ড্রাগটিকে করোনার ভ্যাকসিন হিসাবে প্রচার করছেন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মানুষ চিন্তিত নয়
ভ্যাকসিনের অভাবে, লোকেরা এত চাপে যে তারা এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও চিন্তিত নয়। তারা কেবল করোনায় আক্রান্তের পরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এড়াতে চায়। এজন্য তারা 'আইভারমেকটিন' নামে এই ওষুধ ব্যবহার করছে।
মার্চ মাসে ড্রাগের চাহিদা ৭০০ গুণ বেড়েছে
ভাইস-এর প্রতিবেদন অনুসারে, এই ওষুধের চাহিদা থেকে এই ধারণা পাওয়া যায় যে, কেবল মার্চ মাসে এই ওষুধটি ফিলিপিন্সে ৭০০ গুণ বেশি অনলাইনে অনুসন্ধান করা হয়েছে।
এই ড্রাগ সেলটি ফিলিপিন্সে অবৈধ
প্রতিবেদন অনুসারে, এই ওষুধটি মানুষের ব্যবহারের জন্য নিবন্ধভুক্ত করা হয়নি। অর্থাৎ ফিলিপাইনে এই ওষুধ বিক্রি অবৈধ। তা সত্ত্বেও লোকেরা নির্বিচারে এই ওষুধটি বিক্রি করছে এবং কিনছে।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'আইভারমেকটিন' ড্রাগের একটি সংস্করণ মানুষের ক্রান্তীয় রোগের চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত হয়েছে। তবে কোনও দেশে করোনার রোগে এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি নেই।
মানুষের এই বিভ্রান্তি আছে
তবে কিছু লোকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে যে, এই ওষুধটি মানুষকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে বা এই মহামারী থেকে ভালভাবে পুনরুদ্ধার করতে পারে। তবে ফিলিপাইন প্রশাসনের সতর্কতা সত্ত্বেও এর বিক্রি থামতে পারছে না।
'আইভারমেকটিন' কি?
চিকিৎসকদের মতে, 'আইভারমেকটিন' ঔষধটি মাথার উকুন, চুলকানি, অন্ধত্ব এবং লিম্ফ্যাটিক ফিল্মিয়াসিসের মতো অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক পরজীবীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। মূলত, এই ওষুধটি একটি পশুচিকিৎসার ওষুধ হিসাবে চালু করা হয়, যা সাধারণত বিড়াল, কুকুর, ঘোড়া, গরু এবং শূকরকে দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment