নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর চব্বিশ পরগণা: নাবালকের হাতে শিশু মৃত্যু ঘিরে বুধবার গভীর রাতে উত্তেজনা ছড়ালো দেগঙ্গা ব্লকের বাজিতনগর গ্ৰামে।অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিলো ক্ষিপ্ত গ্ৰামবাসীরা।দেহ আটকে বিক্ষোভ, ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।আটক ৩।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল মোবাশ্বির হাসান নামে বছর ১০ এক শিশু।সন্ধ্যা থেকে সারা গ্ৰামের লোক তন্ন তন্ন করে মাঠ ঘাঠ সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পায়নি। স্থানীয় এক মহিলাকে দেখে সন্দেহ হতে তার বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করে উত্তেজিত জনতা।
অভিযুক্তের বাড়ির পিছনে প্রতিবেশীর বাথরুমে অর্ধনগ্ন শিশুর মৃত দেহের হদিস পায় গ্ৰামবাসীরা। অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গ্ৰামবাসীরা,অভিযুক্তের ছটি ঘড় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে আসে দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
অভিযুক্তদের গ্ৰেফতারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায় গ্ৰামবাসীরা ঘন্টা দুয়েক দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখানোর পর পুলিশ অভিযুক্ত ১৭ বছরের নাবালক সুমন মন্ডল তার বাবা ও মাকে আটক করলে, মৃতদেহ পুলিশের হাতে তুলে দেয় উত্তেজিত জনতা। মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগ অভিযুক্ত নাবালক চপ খাওয়ার নাম করে বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে, মৃতদেহ বাথরুমে লুকিয়ে রেখেছিল, সাহায্য করেছে অভিযুক্তের মা।
এর আগেও অভিযুক্তের নামে মারধর,আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে বলে জানান গ্ৰামবাসীরা।অভিযুক্তের বাবা সোহাই শ্বেত পুর পঞ্চায়েতের সুপার ভাইজার। জনতার আক্রোশে ঘড়ের সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই,পুড়ে গিয়েছে প্রচুর জবকার্ড। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।
No comments:
Post a Comment