প্রেসকার্ড ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভারতে করোনার ভাইরাসের প্রায় ৩ লক্ষ্যেরও বেশি নতুন কেস এসেছে এবং এই সময়ের মধ্যে এই ভাইরাসের কারণে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত, দেশে প্রতিদিন ক্রমবর্ধমান কেসগুলিতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে, এখন আর একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি এবং তা হ'ল করোনার ভাইরাসের ট্রিপল মিউটেশন বা তৃতীয় তরঙ্গ। এটি বিশ্বাস করা হয় যে, ভারতের করোনার ট্রিপল মিউটেশনের রূপগুলি করা নাড়ছে।
ট্রিপল মিউটেশন মানে করোনার তিনটি পৃথক স্ট্রেন সমন্বিত একটি নতুন রূপের গঠন। করোনার এই ট্রিপল মিউটেশন বৈকল্পিকটি দেশের কিছু জায়গায় পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এই ট্রিপল মিউটেশন ভাইরাসটি মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, বিশ্বব্যাপী করোনার ক্রমবর্ধমান মামলার কারণটি এর নতুন রূপগুলি। আসলে ভাইরাসটি যতই ছড়িয়ে পড়ে, তা অনেকগুলি অনুলিপি তৈরি করে এবং এর অনেক পরিবর্তন ঘটে।
ট্রিপল মিউটেশন কী?
এর আগে ভারতে ডাবল মিউটেশনের বৈকল্পিকগুলি পাওয়া গিয়েছিল, যেখানে করোনার দুটি ভিন্ন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল। ট্রিপল মিউটেশন বৈকল্পিকের মধ্যে এখন করোনার তিনটি স্ট্রেন পাওয়া গেছে।
এই নতুন পরিবর্তনটি কোথায় পাওয়া গিয়েছে?
এখনও মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লিতে করোনার ট্রিপল মিউটেশন রূপগুলির খবর রয়েছে।
ট্রিপল মিউটেশন সংক্রামক কি?
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, ভাইরাসে রূপান্তরিত হওয়ার কারণে, কেবল ভারতে নয়, সারা বিশ্ব জুড়ে করোনার ঘটনা বাড়ছে। তবে ট্রিপল মিউটেশন রূপটি কতটা মারাত্মক বা কতটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তা অনুসন্ধান করার জন্য গবেষণা করতে হবে। বর্তমানে, ভারতে ১০ টি ল্যাবগুলিতে ভাইরাসগুলির জিনোম সিকোয়েন্সিং ঘটছে।
দ্বৈত মিউটেশনগুলির কারণে, কেবল প্রতিদিনের কেসগুলিই দ্রুত বৃদ্ধি পায় না, তবে এবার এই ভাইরাসটি শিশুদের উপরও প্রভাব ফেলছে।
No comments:
Post a Comment