প্রেসকার্ড ডেস্ক: চিকিৎসকদের মতে, করোনার ৮০ শতাংশেরও বেশি রোগী বাড়ি থেকে সেরে উঠছেন। তাই আতঙ্কিত হবেন না এবং আপনার চিন্তাভাবনাটিকে ইতিবাচক রাখুন। এটি করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ স্ট্রেস, টেনশন এবং নার্ভাসনেসের কারণে অক্সিজেনের স্তর হ্রাস পেতে শুরু করে, যার কারণে এই রোগ মারাত্মক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে,আমরা আপনাকে সেই ৩ টি ধাপ বা পর্যায়ে সম্পর্কে বলছি যা এই ১৪ দিনের মধ্যে আপনাকে করোনার থেকে সেরে উঠতে সহায়তা করতে পারে।
প্রথম পর্যায় - ১ থেকে ৪ দিন
যদি কোনও রোগীর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে, পরবর্তী ৪ দিনের জন্য তাকে খুব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এই সময়ে ভাইরাসটি সর্বাধিক শক্তিশালী এবং এটি রোগীর নাক এবং গলায় থেকে যায়, যেখানে এটি শরীরে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই সময়ের মধ্যে, নিয়মিত চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধগুলি গ্রহণ করুন, শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন, গরম জলের ভাপ নিন, গরম জল পান করুন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান, আপনার শরীরের তাপমাত্রা এবং অক্সিজেনের স্তর পরীক্ষা করে দেখুন।
দ্বিতীয় ধাপ - ৫ থেকে ৯ দিন
যদি প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগটি থেকে সেরে না ওঠা যায়, তবে সংক্রমণটি ফুসফুসে পৌঁছায় এবং ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কোভিড নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই আপনার লক্ষণগুলি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। আপনার যদি হালকা লক্ষণ থাকে এবং অবস্থাটি স্বাভাবিক থাকে তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে রোগীর জ্বর কমতে শুরু করে তবে শরীরে ব্যথা এবং দুর্বলতা থাকে। তাই এই সময়ের মধ্যে, প্রোটিন সমৃদ্ধ জিনিস খান, জল পান করুন, গরম জলের ভাপ নিন, আপনার তাপমাত্রা এবং অক্সিজেনের স্তর পরীক্ষা করে দেখুন।
তৃতীয় পর্ব - ১০ থেকে ১৪ দিন
আপনার যদি হালকা লক্ষণ থাকে তবে এই পর্যায়ে আপনি ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করবেন এবং আপনার পুনরুদ্ধার শুরু হবে। সুতরাং এই মুহুর্তে আপনার একটি ভাল ডায়েট গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ, অনুশীলন করুন যাতে আপনি হারিয়ে যাওয়া শক্তি ফিরে পেতে পারেন এবং দুর্বলতা দূর করতে পারেন। তবে আপনার প্রতিবেদনটি নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখুন।
এই জিনিসগুলি মাথায় রাখার পাশাপাশি বাড়ির বিচ্ছিন্নতায়ও থাখুন
-রোগীর প্রত্যেক সময় একটি তিন-স্তরযুক্ত মাস্ক পরা উচিত এবং প্রতি ৬-৮ ঘন্টা অন্তর এটি পরিবর্তন করা উচিত
বাসনপত্র, তোয়ালে, বিছানার চাদর, কাপড় ইত্যাদি নিজের রাখুন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে এটি ভাগ করবেন না।
- সাবান জল এবং স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার আপনার হাত ধুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে শারীরিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবেও শক্তিশালী থাকা জরুরি, তাই ইতিবাচক চিন্তাভাবনা রাখুন, ভাল বই পড়ুন, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের সাথে ফোনে কথা বলুন।
(দ্রষ্টব্য: কোনও প্রতিকার নেওয়ার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড নিউজ এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।)
No comments:
Post a Comment