নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর: করণদীঘি বিধানসভা এলাকারা বাসিন্দারা তাদের ভূমিপুত্রকেই চায়। বাইরের কোনও প্রার্থীকে মেনে নেওয়া হবে না।" ঠিক এই ভাষাতেই এবার প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন করণদীঘির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মনোদেব সিনহা। ফলে রায়গঞ্জ, ইটাহার, চাকুলিয়ার পাশাপাশি এবার প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ্যে করণদীঘিতেও।
২০১৬ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী গকুল রায়কে মাত্র ৩,২৩২ ভোটে পরাজিত করে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হন পেশায় শিক্ষক মনোদেব সিনহা। মনোদেব সিনহা ভোট পেয়েছিলেন ৫৪,৫৯৯, আর ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী গকুল রায়ের ঝুলিতে ছিল ৫১,৩৬৭ ভোট৷ এই কেন্দ্রে ৩৫,৫৪৭ টি ভোট পেয়ে তৃতীয় আসনে ছিলেন নির্দল প্রার্থী শেখ সামসুল। বিগত পাঁচ বছর ওই কেন্দ্রে বিধায়ক ও জেলা কমিটির কো-অর্ডিনেটর পদে ছিলেন মনোদেব সিনহা। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে দল তাঁকেই প্রার্থী করবে বলে আশা করে থাকলেও দলনেত্রীর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর হতাশ হতে হয় মনোদেব সিনহাকে। জানা যায়, করণদীঘিতে উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌতম পালকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন দলনেত্রী। এরপর থেকেই ক্ষোভের সুর শোনা যাচ্ছিল মনোদেব সিনহার গলায়। ইতিমধ্যেই ব্লক নেতৃত্বের সাথে একাধিক বৈঠক করেছেন মনোদেব সিনহা। তবে তাঁর আগামী পদক্ষেপ কী হবে সেই বিষয়ে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয় নি।
মঙ্গলবার মনোদেব সিনহা জানিয়েছেন, "বাংলা যেমন নিজের মেয়েকেই চায়, তেমন করণদীঘিবাসীও ভূমিপুত্রকেই চায়। প্রার্থীর বিষয়ে সুপ্রিমোর আশ্বাস পেয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে তা বদলে গেল। কী করে আমি অযোগ্য হয়ে পড়লাম জানি না। তাছাড়া, করণদীঘি কি এতটাই অযোগ্য যে, বাইরে থেকে প্রার্থী আনতে হবে? কারওই কি যোগ্যতা নেই? আমাকে পুরোপুরি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। তাই ব্লক নেতৃত্বকে সাথে নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, করণদীঘি ভূমিপুত্র চায়। বাইরের কোনও প্রার্থী মেনে নেওয়া হবে না। মনোদেব সিনহা আরও বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ব্লক নেতৃত্বের কোন মতামত নেওয়া হয়নি। বাইরের প্রার্থীকে চাপিয়ে দেওয়া হল। করণদীঘির ভোটাররা ক্ষোভে ফুঁসছে।"
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় নেতৃত্বের দাবী, প্রার্থী বদল করা হোক। তবে এই দাবী দলনেত্রী কতটা মানবেন, তা সময়ই জবাব দেবে।
No comments:
Post a Comment