ছেলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে 'ক্যাডবেরি'-র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন এই ব্যক্তি

 

প্রেসকার্ড ডেস্ক: টিভি বিজ্ঞাপনগুলি আমাদের মনকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে তার তাজা উদাহরণ আজমিরের একটি খুব আকর্ষণীয় ঘটনা থেকে মিলেছে। আসলে, চকোলেট সংস্থা ক্যাডবেরির একটি বিজ্ঞাপন ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত একটি ছেলের উপর এমন প্রভাব ফেলেছিল যে, সে বাবার বক্তব্য উপেক্ষা করেছিল। বাবা যখন তার ছেলেকে আবার একই জিনিস করতে বললেন, তখন এই ক্যাডবেরির বিজ্ঞাপনে অনুপ্রাণিত শিশুটি উত্তর দিয়েছে যে "কাজ না করেও সহায়তা করা যায়"।

বাচ্চাদের উপর ক্যাডবেরি অ্যাডের প্রভাব

ছেলের জবাব শুনে বাবা অমিত গান্ধী হতবাক হয়ে গেলেন। তিনি পুত্রকে তা না করার জন্য রাজি করেছিলেন। তবে ছেলের মনে প্রভাবিত বিজ্ঞাপনটি অমিত গান্ধীকে ভাবতে বাধ্য করেছিল, তাই তিনি সরাসরি সংস্থার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আজমির গ্রাহক কমিশনে একটি আবেদন করেছিলেন। পিতা আবেদনে বলেছিলেন যে, এই বিজ্ঞাপনটি ভারতীয় সংস্কৃতি এবং নৈতিকতার পরিপন্থী, তাই এটি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত। ভোক্তা কমিশন সংস্থাকে নোটিশ জারি করেছে এবং উত্তরটি ৪ মে অবধি তলব করেছে। 

পুরো বিষয়টি কী 

আজমিরের রামনগরে বসবাসকারী অ্যাডভোকেট অমিত গান্ধী বলেছেন যে কিছুদিন আগে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া তার ছেলেকে তার দাদার কাছে ওষুধ দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। ছেলে সে সময় ওষুধ দেয়নি এবং চকোলেট খেতে থাকে। অমিত কিছুটা রেগে যান এবং ছেলের আচরণকে তিরস্কার করেন। ছেলেটি ধমক দিয়ে বলেছিল- "বাবা ... এমনকি কিছু না করেও লোককে সাহায্য করা যেতে পারে এবং তাদের জীবন বাঁচাতে পারে"। এর পরে ছেলেটি চকোলেট সংস্থার বিজ্ঞাপনের কথা জানিয়েছিল এবং তাকে বিজ্ঞাপনও দেখিয়েছিল। 

চকোলেট সংস্থা সংবেদনশীল

অমিত গান্ধী বলেছেন যে, ছেলেটিকে একজন বৃদ্ধ মহিলার অনুরোধে সংবেদনশীল হতে দেখানো হয়েছে। এটি ঠিক নয়, এই ধরণের বিজ্ঞাপনটি সমাজে ভুল বার্তা প্রেরণ করে। একই সাথে, কোনও কাজ না করার এবং কাউকে সহায়তা না করার জন্য একটি বার্তা দেওয়া হচ্ছে।