প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : স্ট্যান্ড রোডের বহুতলে ভয়াবহ আগুন। ৯ জনের মৃত্যু। একের পর এক দেহ উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সোমবার কলকাতার ১৪ নাম্বার স্ট্যান্ড রোড এলাকায় নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিং- এর ১৩ তলায় আগুন লাগে। আগুন ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ইঞ্জিন। ১৫ টির মতন ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর প্রচেষ্টায় লেগে যায়।
সোমবার সন্ধ্যা ৬ তা ১০ নাগাদ লাগা এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় ৫ ঘন্টার চেষ্টায়। দমকল কর্মীরা হাইড্রোলিক ল্যাডারের মাধ্যমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ওই ১৩ তলাতেই রেলের চার্ট তৈরির সার্ভার রয়েছে। ফলে সেই সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাত ১০ টা ১০ নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্র। তার কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে আসেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এরপর সাড়ে ১১ টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী এসে পৌঁছান ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি দেখে চোখে জল ধরে রাখতে পারেন না তিনি। অশ্রুভেজা গলায় তিনি বলেন, “রেলের ভবন, অনেক পুরনো ভবন। যারা নেভাতে এসেছিলেন মোট ৭ জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। লিফট দিয়ে তাঁরা উঠতে গিয়েছিলেন। বিদ্যুতের ঝলকের মতো দেহ পুরো ঝলসে গিয়েছে। নামগুলো এসেছে, কিন্তু চিহ্নিত না করা পর্যন্ত নাম দেওয়া হচ্ছে না। যে কর্মীরা লড়াই করে জীবন দিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এটা রেলের জায়গা। তাদের উপর দায়িত্ব বর্তায়। দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। তবে জায়গাটার ম্যাপও দেওয়া হয়নি। আগুন লাগলে লিফট ব্যবহার করা উচিৎ নয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু প্রাণগুলো চলে গিয়েছে। ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কমিশনার বললেন আরও ২ জনের হয়ে থাকতে পারে।”
আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। লিফট দিয়ে উঠতে লিফট আটকেই মৃত্যু হয় সকলের। মৃতদের মধ্যে ৪ জন দমকল কর্মী, ২ জন এএসআই, একজন আরপিএফ, বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট নয়।
No comments:
Post a Comment