নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: বিয়ের পর আরও পণের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা স্বামীর বিরুদ্ধে।লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামীকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে।মঙ্গলবার ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয় বলে খবর।অভিযুক্তর নাম সেখ তালেব।বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসিহাটা জিপির নয়াটোলা গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর জিপির ছত্রক গ্রামের সাবেনা বিবি নামে এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয়, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রামের বাসিন্দা সেখ তালেবের।বিয়ের সময় সাবেনার বাপের বাড়ি থেকে পণ বাবদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হয়।
কিন্তু বছর গড়াতে না গড়াতেই বাপের বাড়ি থেকে পণ বাবদ আরও টাকা আনার জন্য তালেব স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে টাকার দাবিতে সাবেনাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাবেনা। তার ভিত্তিতে পুলিশ তালেবকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,তালেবের দুটো বিয়ে।সাবেনা বিবি দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী।প্রথম স্ত্রীর কথা না জানিয়ে সাবেনাকে বিয়ে করে।বছর যেতে না যেতেই পণের জন্য মারধর করতো।তার একটি পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে।
সাবেনা খাতুনের অভিযোগ,স্বামী খরচ ও স্ত্রীর মর্যাদা দেয়না।এবং কন্যা সন্তান কে নিয়ে কোনো ক্রমে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে দিন গুজরান করছিল।তারপর ফের পণের চাপ।বাপের বাড়ি থেকে তিনলক্ষ টাকা নিয়ে না আসলে সংসারে আশ্রয় দিবে না স্বামী।
সেবেনা বিবির মায়ের অভিযোগ, "আমার মেয়েকে মারধর করছে, খাবার, খরচ কিছুই দেয়না। তিন লাখ টাকা দিতে বলেছে আমাদের। আমি আর গ্রামের বিচার চাইনা। কোর্টের বিচার চাই।"
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন অভিযুক্তদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment