প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : গ্রীষ্ম কালে শরীরকে সুস্থ রাখতে আমরা অনেক নিয়ম মেনে চলি। কেউ হালকা রঙের সুতির জামাকাপড় পরা শুরু করে, আবার কেউ কেউ স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে নজর দেয়।
গ্রীষ্মকালে শরীর ঠিক রাখতে অনেকেই জুস পানের দিকে নজর দেন। আর এই সময়ে যেহেতু আখ পাওয়া যায়, তাই গরমে স্বস্তি পেতে বেশিরভাগ মানুষই আখের রস পান করে। আখের রস আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করে ঠিকই, কিন্তু গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়া কি নিরাপদ।
গর্ভাবস্থায় আখের রস পান করা উচিৎ কি না !
আখের মধ্যে ভিটামিন-এ, বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৬ ও ভিটামিন-সি রয়েছে। এছাড়াও, এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনও থাকে। আপনি যদি ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তবে প্রেগনেন্সির সময় আখের রস পান করা উচিৎ নয়। আখের রস বেশ সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। এটি আরও সুস্বাদু করে তুলতে এতে পুদিনা, লেবুর রস, আদা এবং বরফ মেশানো হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে :
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়েই থাকে। তাই, এই সময়ে আখের রস পান করা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাছাড়া, প্রেগনেন্সিতে আখের রস পান করলে পেটের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকেও বাঁচাতে পারে।
সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে :
প্রেগনেন্সি ডায়েটে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। আখের রস পান করা কেবলমাত্র পুষ্টি সরবরাহ-ই করে না, পাশাপাশি এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে যা ব্যাকটিরিয়া, ছত্রাক এবং ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় আখের রস পান করার উপকারিতা :
সকালের অসুস্থতা মোকাবেলায় সহায়তা করে আখের রস। সকালের অসুস্থতা থেকে কিছুটা মুক্তি দেয়। সকালের অসুস্থতার লক্ষণগুলি কাটিয়ে উঠতে, আপনি এতে কয়েক ফোঁটা আদার রসও যোগ করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment