প্রেসকার্ড ডেস্ক: শরদ পাওয়ার প্রাক্তন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক এমএস ধোনির প্রশংসা করেছেন। 'ক্যাপ্টেন কুল' ভারতীয় দলকে অনেক সাফল্য দিয়েছে। এখন বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি প্রকাশ করেছেন যে, মাহি কীভাবে অধিনায়কত্ব পেলেন। রাঁচির একটি কর্মসূচিতে পওয়ার এই কথা বলেছেন।
ধোনি পওয়ারের আমলে অধিনায়ক হন
২০০৫ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে বিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান ছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার এবং ২০০৭ সালে ভারতীয় দলকে এমএস ধোনির কমান্ড হস্তান্তর করা হয়েছিল।
শারদ পাওয়ার ধোনির ভক্ত
শারদ পাওয়ার বলেছিলেন- 'প্রাক্তন অধিনায়ক এমএস ধোনি এমন এক ক্রিকেটার যিনি ভারতীয় ক্রিকেটে দুর্দান্ত অবদান রেখেছেন।
'দ্রাবিড় অধিনায়কত্ব করতে চাননি'
ইংল্যান্ড সফরকালে রাহুল দ্রাবিড় আমাকে বলেছিলেন যে, অধিনায়কত্বের কারণে তার খেলা প্রভাবিত হচ্ছে এবং তিনি পদত্যাগ করতে চান।
'ধোনির নাম নিয়েছিলেন শচীন'
আমি শচীন টেন্ডুলকারকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিতে বলেছিলাম, কিন্তু তিনিও তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। শচিনকে জিজ্ঞাসা করলাম, এখন দেশের দায়িত্ব কে নেবে? ধোনির নামকে সামনে রেখে তিনি বলেছিলেন, "আমাদের এমন একজন খেলোয়াড় আছেন যে, বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেটকে বিখ্যাত করে তুলতে পারেন।" ধোনির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, যার নেতৃত্ব সারা বিশ্ব জুড়ে ভারতীয় ক্রিকেটকে স্বীকৃতি দিয়ছে।
দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বে ব্যর্থতা
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ২০০৭ সালে, রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে, বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এর পরে দলটি অনেক সমালোচিত হয়েছিল। একই বছর এমএস ধোনি কে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০০৭ সালে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক করা হয়েছিল এবং পরে তাকে ওয়ানডে ও টেস্ট দলের কমান্ড দেওয়া হয়েছিল।
আইসিসির সমস্ত ট্রফি জিতেছিলেন ধোনি
এমএস ধোনির নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ আইসিসি বিশ্বকাপ এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৩ জিতেছিল। এর বাইরে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে তিনি ভারতীয় দলকে এক নম্বরেও নিয়ে এসেছিলেন।
No comments:
Post a Comment