নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর: শ্বশুর বাড়ী গিয়ে খুন হলেন জামাই। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি বিহারের বীরনগর গ্রামে। রবিবার মৃতদেহ উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার সাটয়ারা গ্রামে আনা হয়। পুলিশ স্ত্রী এবং শ্বশুড় শ্বাশুড়ি সহ এক কিশোরকে আটক করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকুলিয়া থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, চাকুলিয়া থানার সাটয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ভদোরা ঋষির ছেলে অনিল ঋষির সাথে বিয়ে হয়েছিল বিহারের বীরনগরের বাসিন্দা গনেশ ঋষির মেয়ে নিলম ঋষির। ২ বছর আগে এই বিয়ে হয়। বিয়ে করার পরে অনিল ঋষি মাঝে মধ্যেই ভিন রাজ্যে কাজ করতে চলে যেত। কাজে যাওয়ার আগে অনিল ঋষি তার স্ত্রীকে শ্বশুড় বাড়ীতে রেখে আসেন। সব কিছুই ঠিক ঠাক চলত। কিন্তু লকডাউনের পরে তার স্ত্রীকে শ্বশুড় বাড়ীতে রেখে আবার ভিন রাজ্যে কাজ করতে চলে যায়। গত চারদিন আগে ভিন রাজ্য থেকে কাজ সেরে বিহারের বীরনগরে চলে যান। শনিবার রাতে অনিল ঋষির পরিবারকে খবর দেওয়া হয় যে, তার ছেলে মারা গিয়েছেন। এই খবর পেয়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। রবিবার সকালে অনিল ঋষির আত্মীয়রা একটি অ্যাম্বুলেন্সে তার দেহ নিজের বাড়ীতে নিয়ে আসেন। মৃতদেহের সঙ্গে আসেন তার স্ত্রী এবং তার শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি। অনিলের মৃত দেহ গ্রামে পৌঁছাতেই এলাকার মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
খবর জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা অনিলের বাড়ীর সামনে ভিড় জমান। গ্রামবাসীদের জেরায় অনিল ঋষির স্ত্রী, স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করেন। মৃত অনিলের স্ত্রী দাবী করেন, তার জামাইবাবু স্বামীকে খুন করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চাকুলিয়া থানার পুলিশ। অনিলের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তার স্ত্রী নিলম ও তার শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি সহ এক নাবালককে আটক করে । পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment