শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর: বনদপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের চেষ্টায় দীর্ঘ প্রায় ৪-৫ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হল মেদিনীপুর শহর থেকে গজরাজকে! উদ্বার করে তাকে ক্রেনে করে তুলে আরাবারি জঙ্গলের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দীর্ঘ চার-পাঁচ ঘণ্টা ধরে কার্যত মেদিনীপুর ডে কলেজ ও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকায় তান্ডব লীলা চালানো দাঁতাল হাতিটিকে অবশেষে বনদপ্তরের কর্মীরা এবং হুলা পার্টির সহযোগিতায় ঘুমপাড়ানি গুলি করে ক্রেন দিয়ে ডাম্পারে তুলে তাকে পাঠানো হল জঙ্গলে। হাতিটিকে ঘুম পাড়ানি ওষুধ দিয়ে কাবু করে রাত ১২:৩০ নাগাদ ক্রেন দিয়ে ডাম্পারে তোলেন তারা। হাতিটিকে আরাবারি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিসিএফ (ওয়েস্টার্ন) অশোক প্রসাদ সিং। তিনি বলেন, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই হাতিকে কাবু করে জঙ্গলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। মাদপুর এলাকা থেকে হাতিটি কোন কারণে চলে এসেছিল লোকালয়ে। সেখান থেকেই ধর্মা জাতীয় সড়ক ধরে মেদিনীপুর শহরে প্রবেশ করে। শহরের কেন্দ্র স্থল রাজাবাজার হয়ে প্রথমে মেদিনীপুর কলেজের ভেতর প্রবেশ করে পরে বন দফতরের লোকজন ও হুলা পার্টির সাহায্যে সেখান থেকে বেরোলেও আবার গজরাজ প্রবেশ করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভেতর। হাসপাতালের পুরাতন ইমার্জেন্সির দিকে পৌঁছাতে বন দফতর আর কোনও ঝুঁকি না নিয়েই ঘুম পাড়ানি গুলি করে কাবু করে।
ভর সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে দলছুট হাতির তান্ডবে শহরবাসি আতঙ্কিত হলেও উৎসাহিত হতেও দেখা গেছে শহর বাসিকে। যদিও কোনও রকম দুর্ঘটনার খবর নেই বলেই জানিয়েছেন বনদপ্তরের আধিকারিকেরা। কিন্তু হঠাৎ করে কিভাবে হাতি শহরের মধ্যে চলে আসলো তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন? বনদপ্তরের গাফিলতির অভিযোগ এনে শহরের মানুষেরা বলেন, এই ধরনের ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে কারও প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যায়!
No comments:
Post a Comment