নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নাবালিকাকে ফুসলিয়ে যুবকের বিয়ে, সঙ্গে থাকার অপরাধে যুবকের বন্ধুকে তুলে এনে মারধরের পর মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ। অসুস্থ যুবককে পাঠানো হল ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে।
ঘটনাটি ঘটেছে দিগম্বরপুর এলাকায়, অসুস্থ যুবক এবং তার বাড়ীর লোকজনের অভিযোগ দক্ষিণ দুর্গাপুর ইন্দ্রা মোড় এলাকার এক যুবক দিগম্বরপুরের ১৫ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। মেয়ের বাবা তপন জানা ঢোলাহাট থানা মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি করেন এবং মেয়ের খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে জানতে পারেন তার মেয়ের পালিয়ে বিয়ের ব্যাপারে সহযোগিতা করেছে দক্ষিণ রায়পুর কাওরাখালি এলাকার যুবক তরুন হালদার। মেয়ের বাবা এবং লোকজন তার খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারে সে মথুরাপুর দু নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর এলাকায় শ্বশুর বাড়ীতে আছে। সেখানে মেয়ের বাবা তপন জানা লোকজন সঙ্গে করে নিয়ে যায় এবং দিগম্বরপুর বাড়ীতে তাকে তুলে নিয়ে আসে। সেখানেই তাকে মারধোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ওই যুবক এবং তার পরিবারের লোকজন। অবস্থা বেগতিক দেখে গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তরুন হালদার কে নিয়ে আসে তপন জানা এবং তার বাড়ীর লোকজন তাঁকে হাসপাতালে রেখেই চলে যায়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ওই যুবকের বাবা এবং বাড়ীর লোকজন গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে আসে। ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসক। তার বাড়ীর লোকজন ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঢোলাহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন যুবকের বাবা।
যদিও বা নাবালিকার বাবা তপন জানা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, তার মেয়ে ১৪ বছর বয়স, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। অসুস্থ অরুণ হালদার তার বন্ধুর সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে নন্দকুমারপুর শ্বশুরবাড়ীতে রেখেছিল, সেখানে যাওয়ার আগেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাই যুবককে বাড়ীতে আনা হয় তার মেয়েকে খোঁজার জন্য, বাড়ীতে রেখে তারা লক্ষীকান্তপুরে যায়, বিষ সে বা তার বাড়ীর লোক কেউ খাওয়ায়নি, এমনকি মারধরও করা হয়নি।
No comments:
Post a Comment