নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন একদিন আগেই, আর পরের দিনই ডায়মন্ডহারবার বিধায়ক দীপক কুমার হালদারের নামে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা। কোথাও লেখা রয়েছে ডায়মন্ডহারবারের পবিত্র মাটিকে কলুষিত করার জন্য গদ্দার বিধায়ককে জানাই ধিক্কার, আবার কোথাও বা জাহাজ ইউনিয়নের থেকে লাখ টাকা ইনকাম করে বেঈমানি করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
বুধবার সকালে স্টেশন বাজার থেকে জেটিঘাট পর্যন্ত একাধিক জায়গায় জাতীয় সড়কের দু’ ধারে দীপক হালদারের নামে বিশ্বাসঘাতক লেখা পোস্টার দেখা যায়। বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজন পোষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই পোস্টারে। আর এই নিয়েই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। রাতের আঁধারে কে বা কারা সেই পোস্টার সেঁটেছে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ। যদিও অভিযোগ উঠেছে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধেই, তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
বিগত কয়েকদিন ধরেই দলীয় কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি দীপক বাবুকে। যোগ দিচ্ছিলেন না কোনও সভাতেই। এমনকি ডায়মন্ডহারবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কুলতলির সভায় অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। অনুপস্থিত ছিলেন অভিষেকের ডায়মন্ডহারবারের সভাতেও। আর তা থেকেই জল্পনা দৃঢ় হয় দীপকের দলত্যাগের। আর তারপরেও সব জল্পনা সত্যি করে অভিষেক গড়ে জোর ধাক্কা দিয়ে দল ছাড়েন বেসুরো তৃণমূল বিধায়ক। দল ছাড়ার চিঠি স্পিড পোস্টে তৃণমূল ভবনে ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর বাড়ীর ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন তিনি। তবে সেদিন দল ত্যাগ প্রসঙ্গে বললেও নিজের আগামী রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘বহু বছরের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল। আমি চিঠি দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা দলকে জানিয়েছি।’ বিজেপি–তে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি দল ছাড়ার পর ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। তাঁদের পরামর্শ নিয়ে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই অন্য দলে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’ তবে সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পদ্ম শিবিরে যোগদানটা তিনি সেরেই ফেলেন।
আর সেই যোগদানের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এলাকা জুড়ে দলত্যাগী বিধায়কের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার।
No comments:
Post a Comment