একে অপরকে টেক্কা দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাস, গুরুতর আহত একাধিক যাত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর: একে অপরকে টেক্কা দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় সামনে পড়ে যাওয়া লরির সাথে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে উত্তরবংগ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার একটি বাস। আহত বাসের ২৩ জন যাত্রী। 

বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার  বালুরঘাট কলকাতা ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের রামপুর এলাকার ১৪ মাইলে। লরির সাথে ধাক্কা মারার পর দুদিকে লরি ও বাসটি ছিটকে পড়ে।  বাসটির স্টার্ট বন্ধ না হওয়ায় তার থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। বাসের মধ্যেই আটকে থাকেন আহত যাত্রীরা। স্থানীয়রা দুর্ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের গাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার চেষ্টা চালায়। আহতদের বেশ কয়েকজনকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পাশাপাশি বাকিদের গংগারামপুর মহুকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধার কার্যে  ছুটে আসে দমকল ও ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত বাসটির যাত্রীরা এই দুর্ঘটনার জন্য বাসটির চালকের দোষ বলে অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনার পর বাসটির চালক ও কন্ডাকটর বেপাত্তা। 

সূত্রে জানা গেছে সকাল এগারটা নাগাদ  উত্তরবংগ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার দুটি বাস মালদা থেকে বালুরঘাট মুখী আসছিল। আহত যাত্রীদের অভিযোগ গংগারামপুর ছাড়ার পর  দুটি বাস একে অপরকে অতিক্রম করে পাশ কাটিয়ে দ্রুত বালুরঘাটে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল। ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বালুরঘাট কলকাতা রাস্তার রামপুর এলাকার চোদ্দ মাইলের উপর বাসটির চালক অন্য বাসটিকে পাশ কাটিয়ে দ্রুত বেড়তে গেলে বালুরঘাটের দিক থেকে আসা লরিটির সাথে মুখোমুখি বাসটির সংর্ঘষ হয় বলে জানা গেছে। 

অপরদিকে গংগারামপুর মহুকুমা হাসপাতাল ও বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে আহতদের মধ্যে কয়েকজনের আঘাত গুরুতর।  সব আহতদের চিকিৎসা চলছে। যদিও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি। এলাকায়  দুর্ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নিমেষেই।  

প্রসংগত, বেশ কয়েকদিন ধরেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পথ নিরাপত্তা নিয়ে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ সহ নানান  কর্মসুচী নেওয়ার মধ্যেই ঘটে গেল বড় দুর্ঘটনা। যা পুলিশের  এই কর্মসূচীর প্রশ্ন উঠে গেল। কেননা জাতীয় সড়ক ধরে বেশ কিছু জায়গায় দুর্ঘটনা রুখতে নজরদারির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ওয়াচ টাওয়ার বসালেও তাতে কোন নজরদারি চালায় না পুলিশ। যদি চালাত তাহলে এত বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হতো না বাসটির যাত্রী সাধারন, বলে জানিয়েছে জেলার নিত্য যাত্রীরা।