জয় গুহ, কলকাতা: শোভন -বৈশাখীর রোড শোকে কেন্দ্র করে মহেশতলায় তুমুল অশান্তি সৃষ্টি হল। মাঝপথেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাইক মিছিলে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা কালো পতাকা দেখায় বলেও দাবী করে গেরুয়া শিবির। স্থানীয় এলাকাবাসী শোভন-বৈশাখী-সহ অন্যান্য মিছিলকারীদের ঝাঁটা, জুতো দেখায় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা বেগ পেতে হয় পুলিশকেও।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কোমর বেঁধে নেমেছে শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষই। শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিক রোড শো করছেন। তেমনই শনিবার মহেশতলায় রোড শো ছিল তাঁদের। ওই পথেই বাইক মিছিল করেও যেতে দেখা যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। অভিযোগ, গোপালপুরের কাছে বাইক মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের দাবী, শোভন-বৈশাখীর রোড শোয়ে তাঁদের গাড়ি একেবারে প্রথম সারিতে রাখতে হবে। যদিও তাতে রাজি হননি বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রোড শো’র একেবারে শুরুতে শোভন-বৈশাখীকে রাখা সম্ভব নয় বলেই দাবী করে গেরুয়া শিবির। তার ফলে পুলিশ এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসাও বাঁধে।
এরপর কিছুটা পথ এগোতেই শোভন-বৈশাখীকে লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখানো হয়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাই কালো পতাকা দেখান বলেই দাবী গেরুয়া শিবিরের। এমনকী স্থানীয় বাসিন্দারা শোভন-বৈশাখী-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা-কর্মীদের ঝাঁটা, জুতো দেখায়। শুধু একবার নয়, রোড শো’য় একাধিক জায়গায় এহেন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় গেরুয়া শিবিরকে। এই ঘটনায় রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন শোভন-বৈশাখী।
তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রোড শো’তে বিপুল জনসমাগম দেখে আতঙ্কিত তৃণমূল। তাই কোথাও দেখানো হচ্ছে কালো পতাকা, আবার কোথাও বাইক মিছিল আটকে দেওয়া হচ্ছে।’ শাসকদলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর দাবী, ‘রংমিলান্তির খেলা শুরু করেছে তৃণমূল। আমার কালো শাড়ির সঙ্গে রং মিলিয়ে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। তাতে আমি যথেষ্ট খুশি হয়েছি।’

No comments:
Post a Comment