প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : রাতে সাত থেকে আট ঘন্টা শান্তভাবে ঘুমানো সমস্ত মানুষের পক্ষে সহজ নয়। কিছু লোক তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করে তবে তারা ঘুমোতে পারে না। মহিলাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটি বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে যে অনেক শারীরিক এবং মানসিক কারণে মহিলাদের পুরুষদের তুলনায় অনিদ্রার ঝুঁকি বেশি থাকে।
অনিদ্রার সমস্যা কী?
নিদ্রাহীনতার মতো অবস্থা মানে অনিদ্রা হল একটি ঘুমের ব্যাধি , যেখানে লোকেরা প্রায়শই ঘুমোতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে। এই পরিস্থিতি কমবেশি হতে পারে। মহিলাদের অনিদ্রার ঝুঁকি কেন বেশি এবং কীভাবে তারা এটি নিরাময় করতে পারবেন এগুলি থেকে এটি বোঝা যায়।
হরমোনের প্রভাব:
আপনার হরমোন এবং আপনার ঘুমের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, উভয় লিঙ্গ যৌবনে পৌঁছে না যাওয়া পর্যন্ত ঘুমের চক্রে কোনও পার্থক্য থাকে না। মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হলে ঘুমের ধরণগুলির পরিবর্তনগুলি শুরু হয়। ঋতুস্রাবের উপর ভিত্তি করে হরমোনে ওঠানামার কারণে তাদের ঘুমচক্রটি ভাল বা খারাপ। গর্ভাবস্থা এবং মনোপোজ চলাকালীন হরমোনীয় পরিবর্তনগুলিও ঘটে এবং ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে।
মেজাজ ডিসঅর্ডার :
মেজাজ উদ্বেগ এবং হতাশার মতো সবসময় দুলতে থাকে। আমরা সবাই জানি যে মহিলারা বেশি সংবেদনশীল হন। এটি ঋতুস্রাবের সময় বেশি হয় এবং এটি তাদের ঘুমের কারণও হতে পারে। কারণ মস্তিস্কে এমন অনেক রাসায়নিক রয়েছে যা মেজাজ ডিজঅর্ডারের জন্য দায়ী। তারা আমাদের ঘুম নিয়ন্ত্রণেও জড়িত।
অতিরিক্ত কাজের কারণে চাপ বাড়া এমন
একটি বিষয় যা মহিলা এবং শিশু এবং প্রবীণরা বেশি প্রাথমিক যত্ন নেন । তাদের বাড়ির কাজ বেশি। এই সমস্ত ক্রিয়াকলাপ মানসিক চাপের মাত্রা বাড়ায় এবং ঘুমের চক্রকে বিরক্ত করে।
অনিদ্রার সমস্যা
আপনার প্রতিদিনের জীবনে ঘুম না আসা একটি সমস্যা, এটি প্রথমে সমাধান করা জরুরী। এই সমস্যাটি মোকাবেলার অনেকগুলি উপায় রয়েছে তবে প্রথমে এর কারণগুলি বুঝতে এবং আপনার ঘুমের অভ্যাসগুলি পর্যালোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
বেশিরভাগ লোকেরা জীবনের কোনও এক সময় অনিদ্রা অনুভব করে। এটি সাধারণত এক বা দুই দিন স্থায়ী হয়। সপ্তাহে তিন রাত তিন মাস ধরে নিদ্রাহীনতার অবস্থা থাকলে পরিস্থিতি গুরুতর বলে বিবেচিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
No comments:
Post a Comment