স্বল্প বাজেটে ঘোরার জন্য সেরা গন্তব্য হতে পারে এই জায়গাগুলি

প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : অনেকেই অনেক জায়গা ঘুরে বেড়ান, তবে পছন্দের সাথে ঘুরে বেড়িয়েছেন এমন সংখ্যা কম। খুব কম লোক আছেন যারা পিক সিজন এবং অফ সিজনের মধ্যে একটি ছুটির পরিকল্পনা করেন। তারা এটি করে অর্থ সাশ্রয় করে এবং ভিড় এড়ায়। তাই কোন মাসে কোন জায়গায় যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে তাও আপনার জানা উচিৎ।

লাদাখ কিছু লোকের প্রিয় গেটওয়ে। আপনি যদি শূন্যের নীচে তাপমাত্রা সহ্য করতে পারেন তবে জানুয়ারীতে এখানে যান। কারন ভায়া মানালির মহাসড়কটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তবে এখানে বিমানের মাধ্যমে পৌঁছানো যেতে পারে। আসামের মাজুলি দ্বীপে খুব বেশি আবাস নেই, তবে ব্রহ্মপুত্র যত দ্রুত সঙ্কুচিত হচ্ছে, এখানে যাওয়া ঐতিহাসিক প্রমাণ হতে পারে। এখানে ফেব্রুয়ারিতে, মঠ এবং জাদুঘর সহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে ভাল লাগবে যা আসামের সংস্কৃতির এক ঝলক দেয়।

মাউন্ট আবুর সৌন্দর্য  শীতকালে উপভোগ করা যায়। এই মাসে আপনি পাতোৎসব এবং সস্তার হোটেল উপভোগ করতে পারেন। এপ্রিলে গ্রীষ্মকালের জন্য আপনি পর্যটকদের ভিড় পাবেন না। এমন পরিস্থিতিতে আপনি উত্তরাখণ্ডের পাহাড় ঘুরে দেখতে পারেন। যদি সাফারি সফরের জন্য গ্রীষ্মের চেয়ে ভাল আবহাওয়া না থাকে তবে অবশ্যই মে মাসে মধ্য প্রদেশের বান্ধবগড়ের আকর্ষণীয় দৃশ্যটি দেখুন। আপনি সহজেই এখানে জঙ্গলের রাজাকে দেখতে পাবেন। এছাড়াও, হোটেলগুলি অর্ধ দামে উপলব্ধ হবে।

জুনে, গ্রীষ্ম এড়ানোর জন্য বেশিরভাগ মানুষ মানালি, সিমলার মতো জায়গায় যান। তবে অরুণাচল প্রদেশের দিরঙে আপনি ভিড় না করে একই সৌন্দর্য পাবেন।  

উদয়পুর আপনাকে আগস্টে একটি বিশেষ অনুভূতি দিতে পারে।

কেরলের বৃষ্টিপাত এবং আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্য প্যাকেজ সেপ্টেম্বরে আপনার বাজেটের মধ্যে থাকবে। শহুরে টান থেকে দূরে, এখানে আপনি শিথিল আবহাওয়া এবং একই সময়ে ছাড়ও পাবেন। 

অক্টোবর মাসে বৃষ্টিপাত হয় এবং পাহাড় সবুজ থাকে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রীষ্মকালীন হুড়োহুড়ি আর হিমাচলের বাদীতে ঘোরার কোনও সমস্যা থাকবে না। সর্বোত্তম জিনিস হ'ল হোটেল রুমগুলি এইসময় ৩০% পর্যন্ত সস্তা দামে পাওয়া যাবে।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শীতকালে দেশের বেশিরভাগ অংশ দখল করে। এমন পরিস্থিতিতে, সেই পাহাড়গুলি একবার দেখুন, যেখানে সৌন্দর্য সর্বত্র বাস করে। সিকিম এমনই একটি জায়গা। 

ডিসেম্বর মাসটি দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের শীর্ষ মৌসুম, এইসময় জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল, অরুণাচল এবং উত্তরাখণ্ড ভারী তুষারপাত হয়। এমন পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির কারণে ঘুরে বেড়ানো বোকামি হতে পারে।