পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে সহকর্মীর হাতে আক্রান্ত হাসপাতাল কর্মী

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এক অস্থায়ী কর্মীকে। অভিযোগ উঠেছে ঐ হাসপাতালেই এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই আক্রান্ত কর্মী বর্তমানে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত ওই কর্মী।রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বর এলাকায়। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় সমগ্র হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনার তদন্তে চাঁচল থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, আহত ব্যক্তির নাম মিঠুন আলী (৩০), বাড়ী চাঁচলের মল্লিক পাড়া এলাকায়। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করেন মিঠুন আলী। কয়েক বছর আগে হাসপাতালেরই অস্থায়ী কর্মী মুক্তার আলী মিঠুন আলীর কাছ থেকে সাত লক্ষ টাকা ধার নেয়। বারবার চেয়েও সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিল না মুক্তার আলী। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল। রবিবার রাতে হাসপাতালের পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় মিঠুনকে টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে ব্যাপক মারধর করে মুক্তার আলী ও খাইরুল আলম। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঙ্গুলে আঘাত করা হয। মিঠুনের চিৎকার শুনে হাসপাতালে কর্মীরা ছুটে আসলে ততক্ষণে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে কর্মীরা আহত মিঠুন আলী কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত খাইরুল আলম ও মুক্তার আলির নামে চাঁচল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মিঠুন আলী। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে চাঁচল থানার পুলিশ।