আট বছরের নাতিকে ফিরে পেতে হয়রানির শিকার গোটা পরিবার - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 13 January 2021

আট বছরের নাতিকে ফিরে পেতে হয়রানির শিকার গোটা পরিবার


নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুরদালালের ক্ষপ্পরে পড়ে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে প্রান হারানো এক স্বামীহারা মেয়ের সাথে থাকা আট বছরের শিশু নাতিকে ফিরে পেতে হয়রানীর সম্মুখীন তপনের  দাড়ালহাটের সদ্য মেয়েকে হারানো পরিবার।


বুধবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ওই ভিন রাজ্যে গিয়ে মাতৃহারা শিশুটির দিদা চুড়কি মুর্মু জানান, তার মেয়ে মিনতি সোরেনের কয়েকবছর আগে  বিয়ে হয় বালুরঘাটের বিজয়শ্রী গ্রামের মংগল মুর্মুর সাথে। বিয়ের কিছু দিন পর তাদের একটি শিশু সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু এরপর তার মেয়ের কপালে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। হঠাৎ করে তার স্বামী মারা যায়। এরপরেই ছেলেকে নিয়ে সংসার চালানো তার দায় হয়ে পরে। তাই কাজের জন্য কয়েকদিন আগে এলাকার এক দালালের মাধ্যমে তার স্বামীহারা মেয়ে মিনতি সোরেন ভিন রাজ্য পুনেতে কাজ করতে যায়। সঙ্গে তার আট বছরের ছেলে রাহুলকেও পুনে নিয়ে যায়। কিন্তু দিন কয়েকের মাথায় খবর আসে আমার মেয়ে মিনতির হঠাৎ করে নাকি কল পাম্প করতে গিয়ে কাশতে কাশতে  মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আমার আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় তার দেহ দেখতে বা নিয়ে আসা সম্ভবপর হয়নি।  পুনেতে থাকা ওরাও কেউ মেয়ের দেহ পাঠায় নি।' পাশাপাশি  তাঁর আট বছরের নাতিকে সেখানে তারা আটকে রেখেছে। ফেরত পাঠাচ্ছেও না, পাশাপাশি ওই শিশুর ভবিষৎের কথা ভেবে তেমন কোন ক্ষতিপুরন দিতে চাইছেনা বলে তিনি অভিযোগ করেন।



তিনি এও বলেন, যেহেতু মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বালুরঘাট থানার অধীন, তাই সেখানে গতকাল অভিযোগ জানাতে গেলে থানার বড় বাবু না থাকায় এব্যাপারে শলাপরামর্শ করে অভিযোগ জানানো সম্ভবপর হয়নি। শীঘ্রই তারা ফের বালুরঘাট থানার সাথে যোগাযোগ করবেন বলে জানান তিনি। মৃত মালতি সোরেনের মা আরও বলেন তারা চান তাকে নিয়ে যাওয়া ঠিকাদার উপযুক্ত ক্ষতিপুরন দেওয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে তার নাতিকে ফিরিয়ে দিক।


অপরদিকে স্থানিও বাসিন্দারা ওই অসহায় পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে। তাদের একজন বিষনু মুর্মু জানান তারাও চান মালতীর কিভাবে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হলো তা জানার পাশাপাশি তার দেহ যদি সৎকার করা না হয় তবে তার দেহ ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তার সাথে থাকা শিশুটিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে ওই ঠিকাদার এগিয়ে আসুক।পাশাপাশি শ্রাদ্ধ শান্তি ও শিশুটির ভবিষৎয়ের কথা ভেবে উপযুক্ত ক্ষতিপুরনের ব্যবস্থ্যা করে দেওয়া হোক বলে তিনি দাবী করেন।


এখন দেখার কবে পুনে থেকে ওই সদ্য মেয়েহারা পরিবারটি তার নাতিকে ফিরে পায় ও তার ভবিষৎ সুরক্ষিত রাখার জন্য উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপুরন পায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad