নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান: মঙ্গলবার থেকে শুরু হল পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামের ভবতারিণী বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গন শ্রীরামপুর ইউনাইটেড হাই স্কুল সংলগ্ন দুটি জায়গায় লোক সংস্কৃতি উৎসব, সেইসাথে কৃষি ও হস্তশিল্প মেলা।
একুশতম এই আন্তর্জাতিক মেলায় প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন রাজ্য থেকে বহু প্রতিভাবান শিল্পী এবং নানান ধরনের ইভেন্টের লোকজন উপস্থিত হন। এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে বহিরাগত শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে মেলা প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের আসার কথা বলা হয়েছে। মেলা কমিটির অন্যতম কর্ণধার স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে, মেলা চলবে আগামী ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলা প্রাঙ্গণে বড় ধরনের উৎসব মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে এবং সেই সাথে প্রায় শতাধিক বিভিন্ন শিল্পীদের জন্য কৃষি ও হস্তশিল্প মেলা অনুষ্ঠিত হবে । আদিবাসী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা সংক্রান্ত ইন্সটল করা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে।
এ ছাড়াও স্থানীয় এবং বিভিন্ন খ্যাতিমান শিল্পীদের দ্বারা বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত। এদিন ছিল স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিন পালন, তাই এই দিনটি যুব দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন ধরনের মনীষীদের নামকরণে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে এই মেলা প্রাঙ্গণে।
সেইসাথে অনুষ্ঠিত হবে একরামিন কবিতা উৎসব আহবায়ক প্রসেনজিৎ সরকার এবং বিশ্বজিৎ আইচ জানিয়েছেন যে, 'গ্রামবাংলা থেকে প্রায় দেড়শতাধিক কবি উপস্থিত হন। এ বছর আমরা কবিদের কাছ থেকে স্বরচিত কবিতা শুনবো স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং প্রকাশিত হবে কবিতা উৎসব প্রাঙ্গণে উত্তরন নামে সাহিত্য পত্রিকা।
দুটি প্রাঙ্গণে লোক সংস্কৃতি উৎসবকে ঘিরে জমজমাট অনুষ্ঠান সেজে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। মেডিকেল ক্যাম্প থেকে শুরু করে কৃষি দপ্তরের তরফ থেকে এবং একাধিক হস্তশিল্পীদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। মেলা কমিটির সম্পাদক দিলীপ মল্লিক জানিয়েছেন যে, প্রতিবছর যেভাবে উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবছর করোনা পরিস্থিতির জন্য আমাদের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তবুও আমরা এলাকার মানুষের জন্য এবং উৎসব প্রাঙ্গণ যাতে মানুষের মনে উপভোগ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় তার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছি।' এখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার একাধিক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট সমাজসেবী সহ এক ঝাঁক শিল্পী।

No comments:
Post a Comment