নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার: দল ত্যাগ করার প্রায় দেড় মাস পর হঠাৎ করে তৃণমূলের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে চিঠি পেলেন মিহির গোস্বামী। চিঠি পাওয়ার পর পার্থ বাবুকে সেই চিঠির উত্তর দিয়েছেন দল ত্যাগী বিধায়ক।
মিহির বাবুর দাবী, "বর্তমানে ১৯ জন বিধায়ক তারা অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচিত অথচ তাদের সম্পর্কে একটি কথা ও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজও বলা হয়নি যে, তাদের বিধায়ক পদে থাকা উচিৎ কি নয়। ফলে তিনিও গত ২৭ শে নভেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন এবং মুখ্যমন্ত্রী চাইলে তিনিও বিধায়ক পদ ত্যাগ করতে রাজি আছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিঠির মন্তব্য করতে গিয়ে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায় একটা চিঠি আমাকে দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন আমি কি অন্য দলে আছি কি নেই এবং অন্য দলে থাকলে আমার বিধায়ক পদ নিয়ে কি করা হবে। আমার খুব অবাক লাগে একজন মন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সচিব তার পাঠানো চিঠিতে তার কোন মনোগ্রাম চিঠিতে তিনি ব্যবহার করেননি। কারণটা আমি বুঝতে পারিনি। সুতরাং তার চিঠির আইনগত বৈধতা আছে কিনা এটাই আমার কাছে বড় প্রশ্ন। আমি গত ২৭ শে নভেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত প্রাথমিক পদ ছেড়ে দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছি। প্রায় দেড় মাস পর তাদের ঘুম ভেঙেছে, তারা জানতে চাইছে আর এই জানাটাই আমার কাছে খুব অবাক লাগছে।"
যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায় বলেন, "মিহির গোস্বামী তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতে গত পাঁচ বছর ক্ষমতায় অলিন্দে থেকে ক্ষমতা ভোগ করেছেন। তিনি তৃণমূল ছাড়ার আগে নিজেকে নৈতিক পুরুষ, নীতিকথার জাহাজ বলে দাবী করে নিজেকে অত্যন্ত সৎ বলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার রাজনীতির কথা আমরা শুনব না। তার তৃণমূল কংগ্রেসে রেজিগ্নেশান দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করা উচিৎ ছিল।"
No comments:
Post a Comment