নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: অনলাইনে এক বেসরকারি সংস্থার কাছে ঋণ নিতে গিয়ে প্রতারিত হলেন এক ব্যবসায়ী। হিন্দমোটরের বাসিন্দা বিজন দাস অনলাইনে একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে প্রায় 10 লক্ষ টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন। এরপর ওই সংস্থার কাছ থেকে বেশ কয়েকবার ফোন আসে বিজন বাবুর কাছে।
বিজন বাবু বলেন যে, 'ব্যবসার জন্য আমি পার্সোনাল একটা লোনের অ্যাপ্লাই করি, এরপর ঐ বেসরকারি সংস্থা থেকে আমার কাছে কয়েকবার ফোন আসে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে 10000, কখনও 16000, কখনও 24 হাজার করে মোট 60 হাজার টাকা নিতে থাকে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে। অবশেষে ঐ সংস্থার কাছ থেকে শেষ একটি ফোন আসে 24000 টাকা দেওয়ার জন্য এবং জানানো হয় এই টাকাটি জমা দিলে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হবে। তবে সেই টাকা জমা দেওয়ার পরেও আমার ব্যাংকে কোন রকম টাকা আসেনি। ঘটনায় আমার একটু সন্দেহ হয়। ওই সংস্থার এক ম্যানেজারের আইডি কার্ড ও কিছু নথিপত্র আমার কাছে পাঠানো হয় সেই ভাবে ওই সংস্থার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললে আমি জানতে পারি যে আমি প্রতারিত হচ্ছি। এরপরে আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি, যোগাযোগ করা হয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ব্রাঞ্চের সঙ্গে। অনলাইনে পাঠানো যে সব নথিপত্র ছিল তা তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
তবে বিজন বাবুর মত যাতে আর কেউ প্রতারিত না হয় তাই বিজন বাবু বলেন, 'আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে প্রশাসনকে জানাবো না, তবে আমার মতো বহু মানুষ এভাবে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে। তাই আমি প্রশাসনের দ্বারস্থ, পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। অবশেষে ঘটনার তদন্তে নেমেছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার সেল।
No comments:
Post a Comment