নিজস্ব সংবাদদাতা, উওর ২৪ পরগনা: কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে ভোট করাচ্ছেন ভালো, বিগত দিনেও ভালো ভোট করিয়েছেন এবং প্রতিটি বুথেই থাকেন এমনই প্রশংসা শোনা গিয়েছে সৌগত বাবুর গলায়।
বনগাঁয় মতুয়াদের নিয়ে একটি দলীয় কর্মসূচিতে এসে সৌগত রায় রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জানান, তিনি বনমন্ত্রী হয়ে বনে বনে না থেকে, তিনি ছিলেন ফেসবুকে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য মন্ত্রিসভায় গরহাজির ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ফেসবুক লাইভে যে সমস্ত অভিযোগ করেছিলেন নিজের দলের বিরুদ্ধে, সেই প্রসঙ্গে সৌগত বাবু জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্ত্রী সভায় যোগদান করার পরেও দলীয়ভাবে তিনি বিষয়গুলো জানাতে পারতেন। একাধিকবার তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় তবুও তিনি বোঝেননি। আসলে পুরো বিষয়টাই বিজেপি করাচ্ছে এটা বিজেপির পরিকল্পনা, এমনটাই দাবী করেন সৌগত রায়।
মতুয়াদের নিয়ে তৃণমূলের যা আলোচনা সভা, সেই প্রসঙ্গে সৌগত রায় জানান দলপতি গোঁসাই পাগল যারা আছেন তারা সবাই তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন তাই সমস্ত মতুয়ারা পুনরায় তৃণমূলের দিকে ফিরছেন। এদিন সৌগত রায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তো ভালোই ভোট করায় প্রতিটি বুথেই থাকতেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে সিএএ প্রসঙ্গ নিয়ে শান্তনু ঠাকুরকে অপদার্থ সাংসদ বলে আখ্যা দিয়েছেন সৌগত রায়। তিনি জানান গত দেড় বছর ধরে সিএএ আইন পাস হলেও এখনও পর্যন্ত তা কার্যকরী হয়নি কারণ শান্তনু ঠাকুর পার্লামেন্টে গিয়ে কোন বক্তব্য রাখেননি ইংরেজিতে।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন না তৃনমূলের বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সংসদ অর্থাৎ ঠাকুর পরিবারের পুত্রবধূ মমতা বালা ঠাকুর। এই প্রসঙ্গে সৌগত রায় জানান, তিনি ত্রিপুরায় আছেন বিশেষ কাজে।
তবে পাল্টা উত্তরে থেমে নেই শান্তনু ঠাকুর তিনি জানান, সিএএ আইন মতুয়াদের জন্য কতটা কার্যকরী সেটা মমতা বালা ঠাকুর বুঝতে পেরেছে তাই তিনি এই মিথ্যা প্রচার এর মধ্যে থাকেননি। মতুয়াদের নিয়ে ভোট রাজনীতিতে নেমেছেন তৃণমূল কারণ পায়ের তলা থেকে মাটি যখন পাতলা হয়ে যায় তখন অন্য মাটি খোঁজার জন্য ছুটে বেড়াতে হয় ঠিক তেমনি তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি পাতলা হয়ে গেছে তাই অন্য মাটি খুঁজে বেড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের সরকার এমনটাই দাবী লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ শান্তনু ঠাকুরের। গত দশ বছরে মতুয়াদের জন্য কোন কিছুই করেননি তৃণমূল। তবে এখন ভোটের দিন যতই যাচ্ছে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজের দলের নেতাকর্মীদের মতুয়াদের ভোট জয় করার জন্য বারংবার পাঠিয়ে তারা আলোচনা মিটিং-মিছিল এই সমস্ত করছে। তবে এতে কোনো লাভ হবে না। উনিশে মানুষ ভোট দিয়েছেন বিজেপিকে, একুশে ভোট দেবেন বিজেপিকে এমনটাই দাবী শান্তনুর।
সৌগত রায় শান্তনুর ঠাকুরকে অপদার্থ সাংসদ হিসেবে আখ্যা দেওয়ার পাল্টা উত্তর শান্তনু জানান পার্লামেন্টে সাংসদ হওয়ার পর সর্বপ্রথম বক্তব্য ছিল আমার যশোর রোড এবং পেট্রাপোল সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ইংরেজিতে বক্তব্য। তবে সৌগত বাবু পার্লামেন্টের সদস্যদের বক্তব্য লক্ষ্য করেন না, এটা তাঁর অন্যতম নিদর্শন। তিনি নিজেকে মহান নেতা বলে ভাবেন, তবে তিনি হয়তো জানেন না মানুষ যদি না চায় তাহলে তিনি যতই ইংরেজি, হিন্দি, বাংলায় বক্তব্য রাখেন পার্লামেন্টে তার জায়গা হবে না। তাই নিজেকে কখনই মহান ভাবলে চলবে না। উনিশের লোকসভা ভোটে আমাকে মানুষ ভোট দিয়েছে তারা আমাকে যোগ্য মনে করেছে তাই আমি সাংসদ হয়েছি। মানুষ না চাইলে বড় বড় কথার কোন মূল্য নেই এমনটাই জানান শান্তনু ঠাকুর।
এদিনের সভা শেষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবী করেন বাগদা, বনগাঁ উত্তর, বনগা দক্ষিণ এবং গাইঘাটা কেন্দ্রে জিতবো। তিনি আরও জানান, আমি সেন্ড বুঝে গেছি আমি বলছি প্রতিটি কেন্দ্রে আমরা জিতবো। গত ১৯ শে সেন্ড বুঝে গিয়েছিলাম আগামী ২১ এর সেন্ডও আমি বুঝে গেছি তাই আমরা জিতবোই।

No comments:
Post a Comment