নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: সরকারি লাইব্রেরীর মাঠ দখল করে চলছে নির্মাণ কাজ। আর এই নির্মাণ কাজে মদৎ দিচ্ছেন লাইব্রেরীর কেয়ারটেকার তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্লক সভাপতি সুমিত সরকার বলে অভিযোগ। মালদার চাঁচলের এই ঘটনা ঘিরে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতি। প্রশাসন দখলমুক্ত না করলে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে দখলমুক্ত করার হুঁশিয়ারি বিজেপির। অপপ্রচার করছে বিজেপি দাবী তৃণমূলের।
চাঁচলের শিবপদ লাইব্রেরী। চাঁচোলের রাজা এই জমি দান করেন লাইব্রেরীর জন্য। তার ছেলের নামেই তৈরি হয় লাইব্রেরী। প্রথমে ট্রাস্টের মাধ্যমে এই লাইব্রেরী চালানো হলেও পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকার এই লাইব্রেরীটি সরকারি তত্ত্বাবধানে নেয়। জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে বলে ব্লক উন্নয়ন দপ্তর ও চাঁচল মহকুমা শাসকের দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন চাঁচলের বাসিন্দাদের একাংশ। তারপরও নির্মাণকাজ বন্ধ না হওয়ায় নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধের চেষ্টা চালান এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই লাইব্রেরীর কেয়ারটেকার সুমিত সরকার বেআইনি ভাবে লাইব্রেরীর জমি হস্তান্তর করছেন। ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাচ্ছে সেই জমি। চলছে অবাধে নির্মাণকার্য।
লাইব্রেরীর আয় বাড়ানোর জন্য দুটি ঘর নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এতে বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না। বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছেন দাবী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তথা ওই লাইব্রেরীর কেয়ারটেকার সুমিত সরকারের। তবে এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রশাসন ওই জমি দখলমুক্ত না করলে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে লাইব্রেরির জায়গা দখল মুক্ত করবে বিজেপি। তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে দায়ী থাকবে প্রশাসন।
এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির অপপ্রচার করছে দাবী জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকারের।

No comments:
Post a Comment