নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ‘যে আশা নিয়ে পরিবর্তন এনেছিলেন, তা কি পূর্ণ হয়েছে? তৃণমূল নেত্রী বলছেন, পচা জিনিস দল থেকে বেরিয়ে গেছে। পচা জিনিস বেরিয়ে গেলে পায়ে এত কাঁটা ফুটছে কেন?’ কেশপুরের জনসভা থেকে গলা চড়ালেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
একেরপর এক অভিযোগ শোনা যায় শুভেন্দুর গলায়। ফের উঠে আসে তোলাবাজ ভাইপো প্রসঙ্গ। পাশাপাশি কেশপুরের জনসভা থেকে তৃণমূলকে চোর বলেও আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু।। তিনি বলেন, ‘গরু চোর এনামুল, তার নাম তৃণমূল। লকডাউনে চাল চোর, আমফানে ত্রিপল চোর, এখন আবার টিকা চোর।’ সম্প্রতি বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ককে টিকা নিতে দেখা গিয়েছে। আর সেই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে শাসকদলকে আক্রমণ শানালেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন এই বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেত্রী কথায় কথায় নন্দীগ্রাম, কেশপুরের কথা বলেন। ভোটের সময় আসেন, তারপর পগারপার। লকডাউনে তৃণমূলের কোনও সাংসদ-বিধায়ককে দেখা যায়নি।’ আমি ২১ বছর পর কেন তৃণমূল ছাড়লাম? কর্মচারী হয়ে থাকতে পারব না, সহকর্মী হয়ে থাকতে পারি। তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।’
শুভেন্দু আরও বলেন, কেশপুরে কি সত্যিই পরিবর্তন হয়েছে। একটা সময় সিপিএম এখানে যা বলতো তাই হতো। এখনও কি বদলেছে? এরপরেই শুভেন্দু বলেন, পুলিশ যাদের হাতে থাকে কেশপুর তাঁদের হাতে থাকে! এটাই দীর্ঘদিন ধরে চলে এসেছে এখানে। তবে এবার বদলাবে বলে মন্তব্য বিজেপি নেতার। ভোটের সময় আসে ওরা ভোট হলেও পগারপাড়। বামপন্থীদের কাছে শুভেন্দুর আবেদন বিজেপিকে ভোট দিন। তিনি বলেন, কেশপুরে অনেক বামপন্থী থাকেন। তাঁদের বলছি ভোট দিন বিজেপিকে। আমরা ছাড়া কেউ ওদের হারাতে পারবে না। শুধু তাই নয়, কেশপুরে সভা থেকে তৃণমূল সোজাপথে ভোটের লড়াই করেনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন যে, আমি যখন যে দলটা করি খুব সম্মানের সাথে করি এবং নিষ্ঠার সাথে করি তাই এখন সর্ববৃহৎ পার্টি পৃথিবীর ভারতীয় জনতা পার্টিতে অংশগ্রহণ করেছি মন দিয়ে রাজনীতি করছে এবং এই জঙ্গলমহল থেকে সমস্ত ভারতীয় জনতা পার্টিকে উপহার দেব এটাই মোদীজি কে কথা দিয়েছি। একই সঙ্গে তিনি দাবী করেন, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে ভারতীয় জনতা পার্টির বিপুল ভোটে জয় যুক্ত হবে।
No comments:
Post a Comment