নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার: আয়করের আওতায় না থাকা প্রত্যেক শ্রমজীবী মানুষকে মাসিক ৭ হাজার ৫০০টাকা অনুদান, প্রান্তিক সমস্ত মানুষকে মাসে ১০কেজি খাদ্যশস্য সরবরাহ করা, গ্রামাঞ্চলে রেগার কাজ ১০৯দিনের পরিবর্তে ২০০দিনে উন্নীত করা, সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরির ব্যবস্থা, কৃষক ও শ্রমিক স্বার্থবিরোধী শ্রম কোডগুলি বাতিল করা এবং এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল-২০২০ বাতিল সহ ৭দফা দাবীকে সামনে রেখে সোমবার কোচবিহার শহরে মিছিল এবং কোচবিহার জেলা শাসকের দপ্তরে সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করে জেলাশাসককে ডেপুটেশন দিল কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন সমূহ এবং ১২ই জুলাই কমিটি।
এদিন বেলা দেড়টা নাগাদ কোচবিহার শহরের সুনীতি রোড সংলগ্ন ব্রাহ্ম মন্দির কমপ্লেক্স চত্ত্বরে জমায়েত করেন শ্রমজীবী মানুষেরা। এরপর এখান থেকে শ্রমিকদের এক সুবিশাল মিছিল রওনা হয় জেলা শাসকের দপ্তরের উদ্দেশ্যে। এখানে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি জেলাশাসককে ডেপুটেশন দেন তারা। এদিনের এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সিআইটিইউ কোচবিহার জেলা সভাপতি তারিণী রায়, সম্পাদক জগৎজ্যোতি দত্ত সহ শ্রমিক নেতা প্রণব ঘোষ, রবীন রায়, বিপুল ঘোষ, সুজিত কুমার দে, কর্মচারী আন্দোলনের নেতা পুলককান্তি বিশ্বাস প্রমুখ।
তারিণী রায় এদিন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সর্বক্ষেত্রে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। দেশের সংস্থা, সম্পদ দেশি-বিদেশি শিল্পপতিদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বীমা, রেল, প্রতিরক্ষা সহ লাভজনক ক্ষেত্রগুলিকে বিলগ্নীকরণের ফলে মানুষ প্রতিনিয়ত কাজ হারাচ্ছেন। নতুন সংস্থা স্থাপন তো দূরের কথা, যা ছিল তাও বেঁচে দিচ্ছে বর্তমান সরকার। এর পাশাপাশি করোনা অতিমারীর সুযোগে সরকার কৃষক স্বার্থবিরোধী তিনটি কৃষি আইন পাশ করিয়েছে। এই কালা কানুনের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ কৃষক দেশের রাজধানীতে কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরিকল্পিত লকডাউনের ফলে দেশের লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী মানুষ যেমন কাজ হারিয়েছেন, তেমন নানা ভাবে তারা সমস্যায় পড়ছেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উদাসীনতার ফলে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ বলে এদিন জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment