নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ কলকাতার শাঁসমলে শুভেন্দুর মিছিলে হামলা, চারু মার্কেট সহ ৩ জায়গায় হামলার খবর। শুভেন্দুর মিছিল লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। পাল্টা ইট ছোঁড়া ও বাইক ভাংচূর বিজেপির। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে, অভিযোগ অস্বীকার শাসক শিবিরের।
সোমবার বিকেলে টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে শুরু করে রাসবিহারী অ্যাভেনিউর উদ্দেশ্যে রওনা হয় শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল। সঙ্গে ছিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেই মিছিল পিএসসি ভবনের কাছে পৌঁছতেই রাস্তার ওপার থেকে ধেয়ে আসে একের পর ইট। আধলা ইট নিয়ে ছোঁড়া হয় বিজেপির মিছিলে।
অভিযোগ, মিছিল চলাকালীন রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে বিকৃত অঙ্গভঙ্গি করা হয় এবং তৃণমূলের পতাকা হাতে কয়েকজন মিছিল লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। এরপরেই বিজেপি সমর্থকদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গে; তাদের পক্ষ থেকেও চলে পাল্টা ইট বৃষ্টি। চলে বাইক ভাংচুর। পুরো ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। যদিও এলাকায় পুলিশের নজরদারি ছিল কড়া।
ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপি; বাংলায় জঙ্গল রাজ চলছে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ নাড্ডা। বিজেপি মুখপাত্ররা বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামে তৃণমূল যা করেছিল, এ বার তা শহরেও করতে চাইছি। বিরোধীদের মেরে ধরে ভয় দেখিয়ে ভোট লুঠ করার ধান্দা করছে। কিন্তু এ বার তা আর হবে না। মানুষ প্রতিরোধ করবে।” বিজেপির দাবী, রোড শো-তে এসে তাঁদের এক কর্মীর মাথা ফেটেছে। আহত বহু।
সোমবার এ ঘটনার নিন্দা করেছে সমস্ত বিরোধী দল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূল আর রাজনৈতিক মোকাবিলা করতে পারছে না। গুন্ডামিতে নেমে পড়েছে। তাঁর কথায়, “আমি তো বলেছি, বাংলায় গণতন্ত্র নেই। তা আবার প্রমাণ হয়ে গেল।”
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার মিছিলে ইট ছুঁড়েছিল দুষ্কৃতিরা। তাতে আহত হয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়ের মতো নেতারাও। তাঁদের ও সাংবাদিকদের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল সেদিন। এবার সোমবার প্রকাশ্য দিবালোকে ফের ঢিল ছোঁড়া হল শুভেন্দু-দিলীপের মিছিলে।
তবে ঘটনা অস্বীকার করেছে শাসকদল। শাসক শিবিরের নেতা অরূপ বিশ্বাস বলেন বলেন, 'পুরোটাই বিজেপির সাজানো। এটা বিজেপিই করেছে। তাদের মিছিলে লোক হয় না, তাই এই কারসাজি তাদের।'
No comments:
Post a Comment