নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদ: ফের প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবা। ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন রাজ্যের সমস্ত মানুষ স্বাস্থ্য সাথীর অধীনে চিকিৎসা পাবেন বেসরকারি হাসপাতালে, কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দী পৌরসভার অন্তর্গত ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রীতম ঘোষাল তার বাবার চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড স্ক্র্যাচ করে দেখে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থাৎ ৫ লক্ষ টাকার জায়গায় মাত্র ৫০০ টাকা রয়েছে। কিন্তু পরিবারের দাবী ২০১৭ তে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পান। ২০১৯ সালে বাবার হাত ভেঙে যাওয়ায় চিকিৎসা করেন কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ। বর্তমানে গত দুদিন আগে পুনরায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে গেলে তখন দেখেন মাত্র ৫০০ টাকা অ্যাকাউন্টে আছে।
এই অভিযোগ নিয়ে কান্দী পুরসভায় গেলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় কার্ডের জন্য মুর্শিদাবাদ কালেক্টারি অফিসে যেতে। ওই যুবকের আরও অভিযোগ, যদি কালেক্টারি অফিসে নিয়ে যান তাহলে তার বাবার চিকিৎসা কি করে হবে। যদিও অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান কান্দি পৌরসভার প্রশাসক অপূর্ব সরকার।
অন্যদিকে কান্দী পুরসভার কো-অর্ডিনেটর গৌতম রায় জানান, তিনি এই ব্যাপারটা জানেন। এই ব্যাপারটা নিয়ে তিনি চিন্তাভাবনা করছেন। তবে এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবা।
No comments:
Post a Comment