প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: প্রায় তিন দশক ধরে রাজনীতির দুনিয়ায় একসাথে থাকার পরে বিভক্ত শিবসেনা এবং বিজেপি একে অপরের পথ আটকে দেওয়ার কোনও সুযোগ ছাড়ছে না। একদিকে বিজেপি নিজেকে বাংলায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে চায়, অন্যদিকে শিবসেনা বাংলা নির্বাচনে প্রবেশ করতে এবং বিজেপির খেলা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এই মুহূর্তে সবার মনযোগ বঙ্গীয় বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। বিজেপি গত কয়েক বছর ধরে বাংলায় তার জমি প্রস্তুত করছে। বিজেপির পরবর্তী লক্ষ্য হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বাংলায় পদ্ম ফোটানো। বঙ্গীয় বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী লড়াই দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপিতে। বিজেপি উচ্চস্বরে হিন্দুত্বের বিষয়টি উত্থাপন করছে। নিজেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিবসেনা বিজেপিকে হতাশ করতে চায়। শিবসেনা বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিনিয়র সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন, "দলীয় প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সাথে আলোচনার পরে শিবসেনা বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা খুব শীঘ্রই কলকাতায় আসছি। জয় হিন্দ।" জয় বাংলার স্লোগানটিও সঞ্জয় রাউত দিয়েছেন।
দলটি বাংলায় কয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে উদ্ধব ঠাকরে নিজেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা শিবসেনা এখনও স্পষ্ট করেনি। শিবসেনা বিহারেও বিজেপিকে পাঠ শেখানোর দাবি করেছিল, তবে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনাকে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। শিবসেনা বিহারে ৫০ জন প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তবে মাত্র ২২ জন প্রার্থী মাঠে নেমেছিলেন এবং তাদের জামিনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
শিবসেনার কোনও ক্যাডার নেই বা বাংলায় কোনও মুখ নেই। শিবসেনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, তবে বঙ্গীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিবসেনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কতটা উপকৃত করছেন, তার অনুমান করা যায়।
No comments:
Post a Comment