নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর: উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বোল্লা কালী মাতার পুজো। করোনার অতিমারীর কারনে এবার শুধু মাত্র রীতি মেনে পুজো অনুষ্ঠিত হলেও হচ্ছে না এই পুজোকে ঘিরে চলা চার দিনের মেলা। শুধু তাই নয়, করোনার সামাজিক দূরত্ব বিধির কারনে এবার পুজোকে ঘিরে যাতে ভক্তসমাগম না হয় সেজন্য আজ ভোর থেকেই পুণ্যার্থী ও ভক্তদের প্রতি কঠোর সজাগ ছিল জেলা পুলিশ প্রশাসনের টিম। ফলে অন্যান্য বছর যেখানে বোল্লা বাস স্ট্যান্ড চত্বর থেকে বোল্লা কালী মাতার মন্দির প্রাঙ্গণ অবধি দুই কিমি রাস্তা যেখানে ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের ভিড়ে গমগম করত, সেই জায়গা এবার একদম প্রায় ফাঁকাই থেকে গিয়েছে।
যদিও এদিন দূর দুরান্ত থেকে কিছু ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা পুলিশের তিনটি ব্যারিকেডের নাকাচেকিং এড়িয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে এসে জড় হলেও মন্দির কমিটি ও জেলা পুলিশের কঠোর নির্দেশিকার জন্য পুজো দিতে ও ভোগ নিবেদন করতে পারেন না। কেননা এবার মন্দির প্রাঙ্গণ চত্বরে কোন ভোগের দোকানকেই বসতে দেয় নি প্রশাসন। ব্যর্থ হয়ে শুধু মাত্র দূর থেকে মায়ের মুর্তির দর্শন সেরেই তাদের এবার ফিরে যেতে হয়েছে।
করোনা অতিমারীর জন্য এবার জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা ও পুজো সামাল দেওয়া ছিল একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। বলতে দ্বিধা নেই, সেই চ্যালেঞ্জ তারা ফুল মার্কস নিয়ে অনায়াসে এখনও পর্যন্ত পাস করতে পেরেছে। তবে আসল চ্যালেঞ্জ অবশ্য রাতে, যখন মা বোল্লা কালী মাতার পুজো অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকবার এই পুজোর দিনে রাতেই অসংখ্য পুণ্যার্থী ও ভক্তসমাগম হয়ে থাকে। তবে দিনের শুরুটা দেখলে আগাম বলে দেওয়া সম্ভব হয় বাকি দিনটাও ভাল ভাবে কাটবে। কেননা এবার অন্যান্যবারের মত রাতে কোন গাড়ি চলাচল করবেনা প্রশাসনের নির্দেশে। তাই হয়তো ভক্তসমাগম হবে না ধরেই নেওয়া যায়।
প্রত্যেক বছর রাস পুর্ণিমার পরের শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের অদূরে বোল্লা গ্রামে বোল্লা কালী মাতার পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment