নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হওয়ার ১৪ দিনের মাথায় জলাশয় থেকে উদ্ধার হল রোগীর পচাগলা মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের বামনগোলা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম সুকান্ত টুডু (২৫), বাড়ী মালদহের বামনগোলা থানার গোবিন্দপুর মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নয়া পাড়া এলাকায়। এদিন বিকেলে বামন গোলা ব্লকের মাহাতো মোড় এলাকায় একটি জলাশয়ে ওই ব্যক্তির পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বামনগোলা থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠান। তবে ওই রোগী কি করে হাসপাতাল থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান এবং এতদিন পরে ওই এলাকায় জলাশয়ে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গেল তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। এটি খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বামনগোলা থানার পুলিশ।
মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের থেকে জানা যায় যে, আজ থেকে প্রায় ১৪ দিন আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বামনগোলা মুদ্বীপুকুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হঠাৎই হাসপাতালে ভর্তির পরের দিনই রহস্যজনকভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় তিনি। এরপরে পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর যখন তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি, ওই দিনেই বামনগোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ১৪ দিন পর এদিন বিকেলে বামনগোলা মাহাতো পাড়া এলাকায় একটি ফাঁকা জায়গায় জলাশয় থেকে ওই ব্যক্তির পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মাঠে কাজ করতে যাওয়া কৃষকরাই প্রথমে দেহ থেকে দেখতে পায় জলাশয়ের মধ্যে এবং এরপরে খবর দেওয়া হয় বামনগোলা থানায়। বামনগোলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। তবে ওই রোগীর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ এবং পরে পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বামনগোলা থানার পুলিশ।
No comments:
Post a Comment